গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানান, ২৩ মে দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপটি তৈরি হওয়ার কথা। নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় হলে কোন তা দিকে এগবে? পরিষ্কার ইঙ্গিত মিলবে ওইসময়েরই আশপাশে। আপাতত বলা যায়, বঙ্গোপসাগরে কোনও ঘর্ণিঝড় হলে সেটি তামিলনাড়ু থেকে মায়ানমার পর্যন্ত বিস্তৃত উপকূলের যেকোনও জায়গায় আছড়ে পড়তে পারে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি শক্তিশালী হয়ে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব অভিমুখে এগনোর সম্ভাবনা বেশি। আবহাওয়াবিদদের বক্তব্য, এই অভিমুখের পরিবর্তন হতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস সংক্রান্ত একটি মডেল বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য অভিমুখ দক্ষিণ মায়নমার উপকূল। অন্য একটি মডেল অনুসারে, এটি যেতে পারে উত্তর অন্ধ্র ও দক্ষিণ ওড়িশার দিকে। আরও একটি মডেল ঘূর্ণিঝড়টির বাংলাদেশ-মায়ানমার উপকূলের দিকে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। এই মডেলগুলি গাণিতিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার আগে থেকে কোনও ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য দিক নির্দেশ করে থাকে। সেই পূর্বাভাস কখনও মেলে, কখনও তা মেলেও না। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও মডেল পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে ঘূর্ণিঝড় আসার ইঙ্গিত দেয়নি।
আবহাওয়া অধিকর্তা জানান, ঘূর্ণিঝড় হলেও সেটি কোনদিকে যাবে সেই ব্যাপারে অনিশ্চয়তা থাকলে মে’র তৃতীয়-চতুর্থ সপ্তাহে কারও আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে তা নিয়ে এখনই চিন্তাভাবনা করতে হবে। আন্দামান সাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হবে ২৩ মে নাগাদ। তার কয়েকদিন আগে আন্দমান সাগরে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বা বর্ষাকাল ঢুকে পড়বে। ফলে ওইসময়ে আন্দমান দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠতে পারে। বিপদসঙ্কেত থাকতে পারে সেখানকার দ্বীপগুলির মধ্যে যাতায়াতে।
এদিকে আগামী সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে ঝড়বৃষ্টির মাত্রা বাড়বে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, রবিবারও কয়েকটি জেলায় অস্বস্তিকর গরম ও তাপপ্রবাহের মধ্যে বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা। রবিবার ঝড়বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুরের কোনও কোনও স্থানে। শনি ও রবিবার তাপপ্রবাহ ও প্রচণ্ড গরম থাকবে আরও একাধিক জেলায়। কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলির জন্য এরকম কোনও পূবর্ভাস না-থাকলেও এখানেও তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। শুক্রবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (৩৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস) স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৩ ডিগ্রি
বেশি ছিল।