গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
আপনার নামে একটি পার্সেল এসেছে। সেটি আটকে রয়েছে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের জন্য। তার মধ্যে রয়েছে নিষিদ্ধ মাদক। অনেক ক্ষেত্রে আবার এও বলা হয়, জাল পাসপোর্ট এসেছে। এর জন্য আপনাকে গ্রেপ্তার করা হবে। সাইবার অপরাধীরা নিজেদের পুলিস বা সিবিআই অফিসার ও এনসিবি আধিকারিক বলে পরিচয় দেয়। অনেকেই এই ধরনের ফোন এলে ভয় পেয়ে যান। এই সুযোগে অভিযুক্তরা বলে তাদের ‘স্যার’ বিষয়টি নিয়ে স্কাইপে কথা বলবেন। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিসের পোশাক পরে স্কাইপের মতো ভিডিও প্ল্যাটফর্মে হাজির হয় জালিয়াত চক্রের পান্ডা বা তার কোনও শাগরেদ। পিছনে থাকে কোনও না কোনও রাজ্য পুলিসের লোগো। গ্রেপ্তারের ভয় দেখানোর পর টাকা দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলা হয়। সাইবার প্রতারকদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে ইতিমধ্যেই বিপুল পরিমাণ টাকা খুইয়েছেন বহু মানুষ। এনিয়ে পশ্চিমঙ্গসহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে বহু অভিযোগ জমা পড়েছে পুলিসের কাছে।
এই সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে পুলিসকর্তারা জেনেছেন, স্কাইপের মতো ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে সাইবার জালিয়াতরা। তা খোলার জন্য ভুয়ো পরিচয় ব্যবহার করা হচ্ছে, যাতে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা না যায়। গোটা দেশে এই ধরনের এক হাজারের বেশি অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, এই মেল আইডিগুলি খোলা হয়েছে কানাডা, নেদারল্যান্ডস, ইউএই-সহ বিভিন্ন দেশের বাসিন্দাদের নামে। বাস্তবে তাদের কোনও অস্তিত্বই নেই। তাদের নিয়ে রিপোর্ট পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে। তার ভিত্তিতে এই অ্যাকাউন্টগুলিকে ব্লক করা হয়েছে বলে খবর। আরও বেশ কিছু আইডি যাচাই করার কাজ চলছে। সেগুলিও ব্লক করা হবে বলে খবর। এর আগে সাইবার জালিয়াতরা যে সমস্ত মোবাইল থেকে ফোন করত, এই ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে সেই হ্যান্ডসেটগুলি ব্লক করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।