দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
যাবতীয় উৎকণ্ঠা যেন ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন এক এবং অদ্বিতীয় মেসি। ক্লাবের জার্সিতে ৭০০তম ম্যাচে তিনিই বার্সেলোনার জয়ের পাসওয়ার্ড। গোল করলেন। করালেনও। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই নক-আউট পর্ব নিশ্চিত করে ফেলায় কোচ ভালভার্দের চোখেমুখে স্বস্তির ছাপ। ম্যাচ শেষে মেসির প্রশস্তি গাইতে শোনা গেল মধ্যম মানের কোচটিকে। উল্লেখ্য, গ্রুপ-এফ’থেকে শীর্ষস্থান ধরে রেখেই রাউন্ড অব সিক্সটিনে পৌঁছাল বার্সেলোনা। ৫ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১১ পয়েন্ট। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে ইন্তার মিলান ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। দু’টি দলই ৫ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট ঘরে তুলেছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর মিলানে ইন্তারের কাছে হারলেও গ্রুপের অবস্থানে মেসিদের বিন্দুমাত্র বদল হবে না।
ঘরের মাঠে আয়োজিত ম্যাচে প্রথম একাদশে তিনটি বদল করেছিলেন ভালভার্দে। সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকের কার্ড সমস্যা থাকায় তিনি ডিপ ডিফেন্সে লেঙ্গলেট ও উমতিতিকে ব্যবহার করেন। মাঝমাঠে ইভান র্যাকিটিচ ও আপফ্রন্টে গ্রিজম্যানের পরিবর্তে ডেম্বেলেকে খেলান তিনি। ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দল আক্রমণ শানানোর চেষ্টা করে। দ্বিতীয় মিনিটেই স্কালজের প্রয়াস রুখে দেন বার্সা দুর্গপ্রহরী মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগেন। এরপর মেসিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় বার্সেলোনার মুভমেন্ট। ব্যক্তিগত মুন্সিয়ানায় আর্জেন্তাইন মহাতারকাটি বারবার বিপদে ফেলেছেন ম্যাটস হামেলস-ম্যানুয়েল আকাঞ্জিদের। ২০ মিনিটে তাঁর পাস থেকে সুয়ারেজ জাল কাঁপালেও তা অফ-সাইডে কারণে বাতিল হয়। তবে কাঙ্ক্ষিত লিডের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ভালভার্দে-ব্রিগেডকে। ২৯ মিনিটে ফের মেসির বুদ্ধিদীপ্ত পাস ভেঙে দেয় বিপক্ষ রক্ষণ। সুযোগসন্ধানী সুয়ারেজের লক্ষ্যভেদে ভুল হয়নি (১-০)। মিনিট চারেক পরে কৃতজ্ঞতার ঋণ শোধ করেন উরুগুয়ান স্ট্রাইকারটি। তাঁর পাস থেকে নেওয়া কোনাকুনি শটে জাল কাঁপান এলএমটেন (২-০)। এই জোড়া গোলই ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় জার্মান ক্লাবটিকে। উল্লেখ্য, হ্যামস্ট্রিংয়ে টান ধরায় ২৫ মিনিটে ডেম্বেলের পরিবর্তে মাঠে নামেন আতোঁয়া গ্রিজম্যান।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই স্কালজের পরিবর্তে জ্যাডন স্যাঞ্চোকে মাঠে নামান বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কোচ লুসিয়েন ফাভ্রে। বার্সেলোনা অবশ্য স্বাভাবিক পাসিং ফুটবলই উপহার দেয়। মেসির পাস থেকে গ্রিজম্যানের শট রুখে দেন বিপক্ষ গোলরক্ষক। এরপরে প্লে-অ্যাক্টিংয়ের জন্য হলুদ কার্ড দেখতে হয় মেসিকে। তাতে অবশ্য তাঁর পারফরম্যান্সে কোনও প্রভাব পড়েনি। ৬৭ মিনিটে বাঁ পায়ের জাদুকরের বাড়ানো ডিফেন্স চেরা থ্রু পেয়ে গোল করতে ভুল হয়নি গ্রিজম্যানের (৩-১)। এর আগে অবশ্য জ্যাডন স্যাঞ্চোর একটি শট দক্ষতার শীর্ষে উঠে রুখতে হয় মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগেনকে। ৭৩ মিনিটে মেসির ফ্রি-কিক ক্রসবারে আছড়ে পড়ে। মিনিট চারেক পরেই বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে ব্যবধান কমান প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন জ্যাডন স্যাঞ্চো (৩-১)। তাঁকে বল বাড়িয়েছিলেন ব্র্যান্ডট।
বুধবার এই গ্রুপের অন্য ম্যাচে ইন্তার মিলান ৩-১ গোলে হারাল স্লাভিয়া প্রাগকে। বিজয়ী দলের হয়ে জোড়া গোল লাওতারো মার্টিনেজের। অপর গোলদাতা রোমেলু লুকাকু। স্লাভিয়া প্রাগের হয়ে গোল করেছেন সুসেক।