মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
চালকুমড়ো ৬০ টাকা কেজি, লাউ ৩০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে সদর বহরমপুরের বিভিন্ন বাজারে। প্রতিটি সব্জির দাম কেজি পিছু ১০-১৫ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে বলেই অভিযোগ ক্রেতাদের।
বহরমপুরের বাসিন্দা রাজিব হালদার বলেন, বাজার থেকে সব্জি কিনব কী, দরদাম করতে গিয়েই ঘাম ছুটছে। দিনে দিনে কেনাকাটা কমছে। পুজোর আগে যেভাবে দাম বেড়েছে তাতে আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের খুব সমস্যা। আলু, পেঁয়াজ, পটল, বেগুন এমন নিত্য প্রয়োজনীয় সব্জির দাম এতটা বেড়ে গেলে সংসার চালানোই মুশকিল।
বহরমপুরের কোর্ট বাজারের সব্জি বিক্রেতা অরিন্দম দাস বলেন, এই বাজারের অনেকেই হরিহরপাড়ার দিক থেকে সব্জি পাইকারি কেনে। সেখানে অতিবৃষ্টির জেরে চাষের ক্ষতি হয়েছে তাই চাষিরা কম দামে জিনিস দিচ্ছে না। পাইকারি বাজারে জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদেরও দাম বাড়াতে হয়েছে। বর্ষার সময় সব্জিতে পচন ধরে। এবার সব্জি কিনে এনে বিক্রি না হলে সব্জি নষ্ট হচ্ছে। আমরাও যে খুব লাভ করতে পারছি, তা নয়। হরিহরপাড়ার সব্জি চাষি আব্দুল সামাদ শেখ বলেন, জমিতে জল জমে বেগুন চাষের খুব ক্ষতি হয়েছে। বর্ষার পেঁয়াজ কতটা ভালো ফলবে বুঝতে পারছি না। শাকের জমিতে জল জমে গোড়া পচে যাচ্ছে। মাঠে আর কোনও ফসল ভালো নেই। আমাদের খুব ক্ষতি হল। বহরমপুরের খাগড়ার পাইকারি বাজারের সব্জি বিক্রেতা মধুসূদন ঘোষ বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে জেলাজুড়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। চাষের নিচুজমি সবই জলমগ্ন হয়ে ফসল নষ্ট হয়েছে। এজন্য পাইকারি বাজারেই সব্জি কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। সেই সব্জি খুচরো বাজারে তো একটু বেশি দামে বিক্রি হবেই। আর প্রতিবার পুজোর আগে এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম কিছুটা বাড়ে, এবারও বেড়েছে।