মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
সারা বছর ধরে ক্যাটারিং করে যে টাকা জমে, তাই দিয়েই এলাকার যুবকরা পুজো করেন। তাঁদের উৎসাহ দেখে এগিয়ে এসেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা পুজোর কাজে সাহায্যের পাশাপাশি আর্থিক সাহায্যও করেন। এই সর্বজনীন পুজোয় বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা তোলার রীতি নেই।
পুজো কমিটির সম্পাদক দুর্লভ পাল বলেন, আমাদের পুজো এবার ১৫তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। কাল্পনিক মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। একসময় ২০জন যুবক মিলে আমরা পুজো শুরু করেছিলাম। সেসময় ক্যাটারিং করে আমরা প্রায় ৪৫হাজার টাকা জমিয়েছিলাম। তাই দিয়ে পুজো হয়েছিল। এবার পুজোর বাজেট প্রায় চার লক্ষ টাকা।
পুজোর সঙ্গে যুক্ত সূর্যদেব মুখোপাধ্যায়, কিরণ ঘোষরা জানালেন, গ্রামের রুইদাসপাড়া, লোহারপাড়া, গয়লাপাড়া সহ বিভিন্ন পাড়ার মানুষ পুজোয় অংশ নেন। পুজোর প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এবার অন্য অনুষ্ঠানের মধ্যে যাত্রাপালাও রয়েছে। দুর্লভবাবু বলেন, যাত্রাশিল্প আমাদের ঐতিহ্য। তা হারিয়ে যেতে বসেছে। ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে এবার যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়েছে। অষ্টমীর দিন গ্রামের মানুষের জন্য প্রসাদের ব্যবস্থা থাকে। অল্প সময়ের মধ্যে এই পুজো পরিচিতি লাভ করেছে। কাঁকসা থানা এলাকার পুজোর মধ্যে পরপর দু’বার আমাদের পুজো দ্বিতীয় হয়েছে। আগে এলাকায় পারিবারিক পুজো হলেও সর্বজনীন পুজো হতো না। কুলডিহা সর্বজনীনের পুজো শুরু হওয়ার পর আদিবাসীপাড়া, রুইদাসপাড়া সহ গ্রামের সবাই উৎসবে মেতে ওঠেন। আশপাশের নানা এলাকার মানুষও এই পুজো দেখতে আসেন।