মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা যৌথভাবে বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালাচ্ছেন। কোন বাজারে সব্জির দাম কত রয়েছে তা তাঁরা নথিভুক্ত করেছেন। কোথাও দাম বেশি নেওয়া হলে ক্রেতাদের সতর্ক করা হয়েছে। এক আধিকারিক বলেন, সতর্ক করার পরও কেউ নিজের ইচ্ছেমতো দাম নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উৎসবের মরশুমে একশ্রেণির ব্যবসায়ী ফায়দা লোটার জন্য বেশি দাম হাঁকায়। তাদের উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিভিসির ছাড়া জলে বিভিন্ন এলাকার সব্জি নষ্ট হয়েছে। ঝিঙে, পটল, লঙ্কা সহ বিভিন্ন গাছ পচে গিয়েছে। তবে সব জায়গায় এমনটা হয়নি। তারপরও একশ্রেণির ব্যবসায়ী ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ। লঙ্কার দাম আকাশছোঁয়া। কোথাও কোথাও কেজি প্রতি দাম ১২০-১৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। অনেকে ইচ্ছে থাকলেও পর্যাপ্ত লঙ্কা কিনতে পারছেন না। ক্রেতারা বলেন, লঙ্কার সেই ঝাঁজ নেই। কিন্তু লঙ্কা ছাড়া রান্না জমেও না। তাই ক্রেতারা বেশি দাম দিয়ে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে সরকারি স্টলগুলি থেকে ক্রেতারা ন্যায্য মূল্যে লঙ্কা কিনতে পারছেন। টোটো করে তা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করা হচ্ছে। উৎসবের মরশুম পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, সুফল বাংলার স্টলেও ন্যায্য মূল্যে সবকিছু পাওয়া যায়। এছাড়া যেসব সব্জির দাম বেশি রয়েছে সেগুলি টোটোয় ঘুরে ঘুরে বিক্রি হচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধির কারণে এমনিতেই আমজনতার নাভিশ্বাস উঠেছে। উৎসবের মরশুমে খরচ বেড়ে যায়। তারপর বাজারে গিয়ে নাজেহাল হতে হলে সমস্যা আরও বাড়ে। সেকারণেই প্রশাসন ময়দানে নেমেছে। বর্ধমানের পাশাপাশি কাটোয়া, কালনা সহ বিভিন্ন জায়গায় সব্জি বিক্রি হচ্ছে।