সংবাদদাতা, ইসলামপুর: ইসলামপুরে পুজোয় কেপমারি রুখতে দর্শনার্থীদের সঙ্গে ভিড়ে মিশে থাকবেন সাধারণ পোশাকের অ্যান্টি ক্রাইম টিমের পুলিস কর্মীরা। ইভটিজিং রুখতেও মহিলা পুলিসের বিশেষ টিম থাকছে। ড্রোন ও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালাবে পুলিস। পুজোকে কেন্দ্র করে যেকোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে ইসলামপুর পুলিস জেলা একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। ইসলামপুরের পুলিস সুপার জবি থমাস বলেন, পুজোয় যেকোনও অপ্রীতিকর ঘটনা রোখার জন্য পুলিস প্রশাসন প্রস্তুত আছে। পুলিসের তিনটি অ্যান্টি ক্রাইম টিম গঠন করা হয়েছে। ইসলামপুর ও চোপড়া থানা এলাকায় একটি টিম, ডালখোলা ও চাকুলিয়া থানা এলাকায় একটি টিম ও পাঞ্জিপাড়া ও গোয়ালপোখরে একটি টিম থাকবে। কেপমারি থেকে শুরু করে যেকোনও অপরাধমূলক ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ করবে অ্যান্টি ক্রাইম টিম। তারা পুলিসের পোশাকে নয় সাধারণ পোশাকে থাকবে। ইভটিজিং রুখতে মহিলা পুলিসের বিশেষ টিম (উইনার্স) ব্যবস্থা নেবে। তারা ইসলামপুর ও ডালখোলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি চালাবে। ড্রোন ও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমেও নজরদারি চালান হবে। এজন্য পুজো কমিটিগুলিকে সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শহরের বিকল সিসি ক্যামেরাগুলি মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। বিহার-বাংলা সীমানায় নাকা চেকিং শুরু হয়েছে।
সেই সঙ্গে বিহার পুলিসকেও চিঠি পাঠনো হয়েছে যাতে তারা সীমানা এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করে। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়াতে বিএসএফকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ইসলামপুর পুলিস জেলার একদিকে বিহার সীমানা অন্যদিকে বাংলাদেশ সীমান্ত। একাধিক ঘটনায় দেখা গিয়েছে বিহারের দুষ্কৃতীরা অপরাধ সংগঠিত করে বিহারে গিয়ে গাঢাকা দিয়েছে। অপরাধীদের ধরতে পুলিসকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। সেক্ষেত্রে সিসি ক্যামেরাগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। ইসলামপুর শহরে প্রায় ১২০টি সিসি ক্যামেরা আছে। এরমধ্যে অর্ধেকই বিকল বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিস সুপার অবশ্য জানিয়েছেন, বিকল ক্যামেরাগুলি মেরামতির কাজ চলছে।