মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
যদিও এবিষয়ে উপাচার্য দেবব্রত মিত্র কিছুই বলতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, ন্যাক পরিদর্শন টিমের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি গুয়াহাটিতে রয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়কে সচল রাখতে যা পদক্ষেপ নেওয়ার তা করা হয়েছে। ফিনান্স অফিসার উজ্জ্বল দাস বলেন, উপাচার্য আমাকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী অধ্যাপকদের বেতন সমস্যা সহ যাবতীয় সমস্যা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে রেজিস্ট্রার কৌশিক মাঝিকে ফোন ও মেসেজ করেও কোনও উত্তর মেলেনি।
এদিকে বেতন পেয়েই খুশি অধ্যাপকরা। এবিষয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রাজু পাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আমরা নিয়োগ পেয়েছি। এবার উপাচার্যের উদ্যোগে আমরা বেতন পেয়েছি। পুজোর আগে বেতন পাওয়ায় আমরা খুশি।
সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রার কাজে অসহযোগিতা বা দায়িত্ব পালনে অপারগ হলে, কাজ করার ক্ষমতা উপাচার্য যে কোনও আধিকারিককে দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে উপাচার্য দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স অফিসারকে দিয়েছেন। রেজিস্ট্রারকে উপেক্ষা করেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপকদের নতুন করে নিয়োগপত্র দিয়েছেন ফিনান্স অফিসার। বৃহস্পতিবারই নতুন ক্লাস শুরু হয়েছে। রাতে আটকে থাকা রেজাল্টও বেরিয়েছে। শুক্রবার অধ্যাপকদের আটকে থাকা বেতনও মিলেছে। ফলে পুজোর আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত সমস্যা মিটে গেল। রেজিস্ট্রারের ক্ষমতা কার্যত কেড়ে নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় অচলাবস্থা কাটল বলে মনে করছে শিক্ষামহল।
প্রসঙ্গত, রাজ্যপালের মনোনীত উপাচার্য দেবব্রত মিত্র ২০২৩ সালের ১৮ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। চলতি বছরে ৫ জুন রাজ্য সরকার মনোনীত হিলি গভর্নমেন্ট কলেজের অধ্যাপক কৌশিক মাঝি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগ দেন। কাজে যোগ দিয়েই তিনি বেতন সংক্রান্ত ফাইলে সই করেননি বলে অভিযোগ। অতিথি অধ্যাপকদের নিয়োগ ও বৈধতার প্রশ্ন তুলে উচ্চশিক্ষা দপ্তরে তিনি চিঠি দিয়েছেন।