মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
এসবের মধ্যে ফলাফল বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার মালদহ কলেজের গভর্নিং বডি পড়ুয়াদের হাজিরা নথিবদ্ধ করতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে কলেজের শিক্ষক, শিক্ষিকা বা শিক্ষাকর্মীদের বায়োমেট্রিক হাজিরা বেশকিছু ক্ষেত্রে চালু হলেও পড়ুয়াদের উপস্থিতির ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত অভিনব বলেই মনে করছে শিক্ষা মহল। বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও।
এদিন মালদহ কলেজের গভর্নিং বডির বৈঠক শেষে সভাপতি তথা বারাসাত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৌরেন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, স্নাতকস্তরে যে ফল হয়েছে, অত্যন্ত খারাপ। বিষয়টি পর্যালোচনা করতে এদিন বৈঠক হয়েছে। বেশকিছু ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার উল্লেখযোগ্য ভাবে কম বলে উঠে এসেছে। এবার তাই মালদহ কলেজে পড়ুয়ারা নিয়মিত ক্লাস করছেন কিনা তা নথিবদ্ধ করতে বায়োমেট্রিক হাজিরা ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই পদ্ধতি চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে স্নাতক স্তরের প্রথম সেমেস্টারের ফলের পরিপ্রেক্ষিতে মানিকচক কলেজের অধ্যক্ষকে এদিন ডেপুটেশন দেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এই কলেজে ২ হাজার ৫০০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা দিতে পারবেন মাত্র ১৯ জন। ফলে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে পড়ুয়াদের মধ্যে। মানিকচক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি আশিস মণ্ডল বলেন, এই ফল পুনর্বিবেচনার জন্য আমরা ডেপুটেশন দিয়েছি। মোট ২ হাজার ৫০০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ১৯ জন ছাত্রছাত্রী দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা দিতে পারবেন। প্রচুর ছাত্রছাত্রী অল্প নম্বরের জন্য ফেল করেছেন। স্বল্প খরচে প্রত্যেক অসফল পরীক্ষার্থীর পুনর্মূল্যায়ন, গ্রেসমার্ক দিয়ে সেকেন্ড সেমেস্টারে উত্তীর্ণ করার জন্য আমরা আবেদন জানিয়েছি। কলেজে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি সুনিশ্চিত করতে পরীক্ষার আগে সিলেবাস শেষ করে ইন্টারনাল টেস্ট নেওয়ার জন্যও কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছি।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাস বলেন, মালদহ কলেজে পড়ুয়াদের বায়োমেট্রিক উপস্থিতি চালু করার সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। তবে সব কলেজ হয়তো এই ব্যবস্থা এখনই চালু করতে পারবে না। তবে সকলেরই লক্ষ্য কলেজে পড়ুয়াদের হাজিরা বৃদ্ধি ও নিশ্চিত করা। পরীক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে বিশ্বজিৎবাবু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সব মহলের বক্তব্যই শুনবে। পরীক্ষার্থী ও পড়ুয়াদের বক্তব্যও এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান।