মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
সবথেকে বড় উদ্বেগ নিয়ে এসেছে অর্থনীতির চালিকাশক্তি আটটি কোর সেক্টর। সিমেন্ট, বিদ্যুৎ, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, ইস্পাত ইত্যাদি কোর সেক্টর উৎপাদন বৃদ্ধিহার একটানা তিন মাস নিম্নমুখী। সেপ্টেম্বর মাসে উৎপাদন বৃদ্ধিহার কমেছে আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। আগস্টে যে সূচক ছিল, ৫৭, সেপ্টেম্বর মাসে হয়েছে ৫৬। কেন কমেছে উৎপাদন হার? কারণ রপ্তানি অর্ডার কমেছে।
সেপ্টেম্বরে জিএসটি আদায় হয়েছে ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা। বিগত ৩৯ মাসের মধ্যে জিএসটি বৃদ্ধিহার এটাই সবচেয়ে কম। বিশেষ উদ্বেগজনক হল অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী রাজ্যগুলির জিএসটি আদায় প্রায় একই স্তরে থমকে গিয়েছে। সাধারণ নিয়মে ১০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধিহারকে আর্থিক উন্নতি বলা যায়। কিন্তু জিএসটি আদায়ে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কর্নাটক কেউ ৫ শতাংশ ছাড়ায়নি। গুজরাতে বৃদ্ধিহার শূন্য।
কোর সেক্টরে সার্বিক বৃদ্ধিহার গত আগস্ট মাসে কমে গিয়েছে প্রায় ২ শতাংশ। এরকম ঘটনা ৪২ মাস পর হল। সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্যেই এই পরিসংখ্যান দেখা যাচ্ছে। আট কোর সেক্টরের মধ্যে ৬টিতেই বৃদ্ধিহার কমে গিয়েছে। ইস্পাত উৎপাদন বেড়েছে। কিন্তু এই বৃদ্ধির হার ২৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। সাড়ে ৪ শতাংশ। সার উৎপাদন বৃদ্ধিহার মাত্র ৩ শতাংশ বেড়েছে। অথচ জুলাই মাসে বেড়েছিল সাড়ে ৫ শতাংশ। উৎসবের মরশুমে যেভাবে অর্থনীতির প্রায় প্রতিটি মাপকাঠিতে চরম ধাক্কা লাগছে, তাতে অর্থমন্ত্রক রীতিমতো দিশাহারা। আগামী সপ্তাহে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠক। গোটা দেশ তো বটেই, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক মহল তাকিয়ে রয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দিকে। বহু মাস পর সম্প্রতি আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক কমিয়েছে রেপো রেট। তাই ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক কি সেই পথেই হাঁটবে? উৎসবের মাসে রেপো রেট কমলে সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। কিন্তু সবজির দাম আকাশ ছুঁয়েছে। তাই খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার ফের ঊর্ধমুখী। এমতাবস্থায় রেপো রেট আদৌ কমবে কি না, প্রশ্ন উঠছে। ইতিমধ্যেই অর্থনীতির ব্যাকফুটে থাকার প্রমাণ মিলছে। কারণ উৎসবের মরশুমে ক্রয় প্রবণতায় বৃদ্ধি নেই।