মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
এদিন হাতরাস ও এটা জেলার সীমানার রতিভানপুর গ্রামে সিকন্দ্রা রাও এলাকায় বসেছিল ওই সৎসঙ্গের আসর। পুলিস সূত্রে খবর, স্থানীয় ধর্মগুরু নারায়ণ সাকার হরি (ভোলে বাবা) ছিলেন মূল আয়োজক। অনুমতি দিয়েছিল মহকুমা শাসকের দপ্তর। ধর্মজ্ঞান শুনতে জড়ো হয়েছিলেন অন্তত পাঁচ হাজার পুণ্যার্থী। ছোট মঞ্চ, ভিড়ে ঠাসা মাঠ। মাথার উপরে ছাউনি থাকলেও ভ্যাপসা গরমে ফ্যানের বন্দোবস্ত ছিল না। তাই প্রচুর ভক্তসমাগম হওয়ায় বিপত্তি বাধে। ভক্তদের ঢল সামলানোর পরিকাঠামো ছিল না উদ্যোক্তাদের কাছে। দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মাঠ থেকে বেরনোর রাস্তাও ছিল অপরিসর। ধর্মগুরু বেরিয়ে যাওয়ার সময় অনেক ভক্তই সেই রাস্তায় এসে গড় হয়ে প্রণাম করছিলেন। সামনে রাস্তাটিও ছিল একটু উঁচুতে, একটি নর্দমার উপর নির্মিত। সেখানে পৌঁছতে গিয়ে ভিড়ের চাপে টাল সামলাতে পারেননি অনেক মহিলা ও শিশু। আর তখনই সরু জায়গা দিয়ে বেরতে গিয়ে হুড়োহুড়ির জেরে পদপিষ্ট হয় মৃত্যু হয় অন্তত ১১৬ জনের(বেসরকারি হিসেবে অবশ্য সংখ্যাটা ১৩০-এর কম নয়)। পরে হাসপাতালে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২১।
হাসপাতালের ভিতরে ডাঁই হয়ে মৃতদেহ পরে থাকার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, আহতদের সিকান্দ্রা রাও কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানে মাত্র একজন চিকিৎসক ছিলেন। গুরুতর আহতদের অক্সিজেন পর্যন্ত দেওয়া যায়নি। দেড় ঘণ্টা পরে ঘটনাস্থলে আসেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। কেন আগেভাগে ভিড় সামলানোর ব্যবস্থা ছিল না, সেই প্রশ্ন উঠছে। এটা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আহতদের। জেলাশাসক আশিস কুমার জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার তদন্ত হবে। আগ্রার কমিশনারেট ডিজিপির নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। লোকসভায় জবাবি ভাষণ চলাকালীনই এই খবর পান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই বিষয়টি নিয়ে শোকপ্রকাশ করেন। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের তরফে মৃতদের পরিবারকে দু’লক্ষ ও আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।