আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
কেন্দ্র চাইছে, দেশের ৯০০টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৪০ হাজার কলেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের উপস্থিতি বাড়াক। তারা ফেসবুক, ট্যুইটার এবং ইনস্টাগ্রামে তাদের অ্যাকাউন্ট খুলুক। যুক্ত হোক মানবসম্পদ উন্নয়নের নিজস্ব অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গে। শুধু তাই নয়, প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষক বা আধিকারিককে ‘সোশ্যাল মিডিয়া চ্যাম্পিয়ন’ বা এসএমসি করতে হবে। তিনিই সেই প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টগুলি দেখভাল করবেন। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এই এসএমসিদের যাবতীয় তথ্যাদি অল ইন্ডিয়া সার্ভে অব হায়ার এডুকেশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। অর্থাৎ, ব্যাপারটাকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে মন্ত্রক।
এই পর্যন্তও সেভাবে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থিতি রয়েছে। যিনি তা দেখভাল করেন, তাঁর সম্পর্কিত তথ্যাদি আপলোড করে দেওয়া এমন কোনও বড় ব্যাপার নয়। যদি তা নাও থাকে, তাহলেও অ্যাকাউন্ট খোলাটা সামান্য ব্যাপার। কিন্তু আপত্তির জায়গা হল, ছাত্রছাত্রীদের অংশ নেওয়ার বিষয়টিতে। তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যক্তিগত এবং সামাজিক একটি পরিসর। তাই সাবালক ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক পোস্ট করেই থাকেন। বিজেপি বিরোধী কোনও পোস্ট হলে তার কোনও নেতিবাচক প্রভাব যে সংশ্লিষ্ট ছাত্র বা ছাত্রীর কেরিয়ারে পড়বে না, তার কোনও গ্যারান্টি নেই। প্রতিবেদকের কাছে দিল্লির এক অধ্যাপক দাবি করেছেন, ফ্যাকাল্টি পদে ইন্টারভিউ নেওয়ার পরে একজন প্রার্থীকে বাতিল করা হয়েছিল। কারণ তাঁর কিছু পোস্ট সরকার বিরোধী বলে মনে হয়েছিল কর্তৃপক্ষের। এতে যে সেই সম্ভাবনা আরও বিস্তৃত হবে, তেমন আশঙ্কাই করছেন তিনি।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক এটাকে নজরদারিরই একটি কৌশল বলে মনে করছেন। তবে, এ রাজ্যের উপাচার্যরা রবিবার পর্যন্ত এই নির্দেশিকা হাতে পাননি। তাই এ বিষয়ে কোনও বিবৃতি দিতে চাননি। তবে, এমন নির্দেশিকা এলে সেটাকে সন্দেহের চোখে দেখা উচিত বলেই তাঁদের মত। প্রতিবেদন অনুযায়ী, মন্ত্রকের আধিকারিকদের যুক্তি, এর মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি তাদের সম্পর্কিত ইতিবাচক খবর, তাদের কর্মকাণ্ড জানাতে পারবে। ছাত্রছাত্রীরাও ব্যক্তিগতভাবে কোনও ভালো কাজ করলে সেটা নিয়ে মন্ত্রকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন। সেকথা ভেবেই এটা করা হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের কাজ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটেই শেয়ার করুক। তার জন্য আলাদা জায়গা রাখা হোক। এই পদ্ধতিতে তাঁদের ব্যক্তিগত পরিসরে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। এতে তাঁরা যাতে সরকার বা প্রতিষ্ঠানের ইতিবাচক খবরই শেয়ার করেন, তা নিশ্চিত করার জন্য চাপে থাকবেন।