আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
অনদিকে, কাটমানি প্রসঙ্গেও বিজেপির কটাক্ষকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে লোকসভায় মোদি-অমিত শাহর দলকে চাপে ফেলল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। বাজেটের বিতর্কে তৃণমূলের বক্তা ছিলেন লোকসভায় দলের মুখ্যসচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তৃতায় মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। একইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রশংসা। তখনই উল্টোদিকে ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে বাংলার বিজেপি এমপিরা কাটমানি কাটমানি বলে কটাক্ষ করতে থাকেন। তারই জবাব দিতে কল্যাণবাবুও পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন। বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহস আছে তাই কাটমানি ফেরত দেওয়ার কথা বলতে পেরেছেন। ফেরতও দেওয়াচ্ছেন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির সেই সাহস আছে কি? বলেন, ক্ষমতা থাকলে নরেন্দ্র মোদি রাফালে যে ১১ হাজার কোটি টাকা কাটমানি হয়েছে, সেটা ফেরত দিন। এই শুনে বিজেপিও পাল্টা হইহই করে ওঠে।
বাজেটে কেন্দ্রীয় রাষ্টায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বেসরকারি হাতে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এতেই ব্যাপক আপত্তি তৃণমূলের। বাজেট প্রস্তাব শুনে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত শুক্রবারই দলকে এ ব্যাপারে সংসদে প্রতিবাদের ঝড় তুলতে নির্দেশ দেন। সেই মতো আজ সোমবার সভা শুরুর আগেই ধর্না বিক্ষোভের মাধ্যমে প্রতিবাদ শুরু করে তৃণমূল। গান্ধী মূর্তি পাদদেশে দলের লোকসভা এবং রাজ্যসভার এমপিরা একজোট হয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগানে সোচ্চার হন।
আজ সংসদে বিলগ্নিকরণ ইস্যুতে সরব হওয়ার পাশাপাশি সময়মতো রাস্তাতেও নামবে বলে জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। এ ব্যাপারে কেন্দ্রের কাছে তাদের দাবি, ক্ষতির মুখে পড়া রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বিক্রি করা চলবে না। অন্যদিকে, রাজ্যসভায় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ ইস্যুতে বলতে চেয়ে সরব হন দোলা সেন। বিষয়টি নিয়ে সরকারকে চেপে ধরতে সোচ্চার হন ডেরেক ও’ব্রায়েন, মানস ভুঁইয়া, মণীশ গুপ্তর মতো এমপিরা। কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে বলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করে প্রতিবাদে ওয়াক আউট করল তৃণমূল।