আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
শনিবার উদালগুড়ি জেলার গণকপাড়া গ্রামের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্ত স্কুলশিক্ষকের বাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখে সন্দেহ হয় কয়েকজন গ্রামবাসীর। কারণ গত তিন বছর ধরে ওই তান্ত্রিক শিক্ষকের বাড়িতে তন্ত্রমন্ত্রের সাধনার অছিলায় যাতায়াত করত। বাড়ির সামনে গিয়ে তাঁরা লক্ষ্য করেন, মহিলা সহ পরিবারের সদস্যরা বিবস্ত্র হয়ে মন্ত্রোচ্চারণ করে চলেছে। হাড়িকাঠে বাঁধা রয়েছে একটি শিশুকন্যার মাথা। সামনেই হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে এক তান্ত্রিক। স্থানীয়দের দাবি, শিশুটি ওই স্কুলশিক্ষকের শ্যালিকার মেয়ে। শিশুটির মা, বাবা ও ঠাকুমাও এই পাশবিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত। শিশুটিকে বাঁচাতে গ্রামবাসীরা তড়িঘড়ি পুলিস ও সাংবাদমাধ্যমে খবর দেন। বাড়িতে ঢুকে শিশুটির প্রাণরক্ষার চেষ্টা শুরু করেন। পুলিস ও সংবাদমাধ্যমে এসে পৌঁছনোয় মারমুখী হয়ে পড়ে স্কুলশিক্ষকের পরিবারের সদস্যরা। তলোয়ার ও কুঠার দিয়ে স্থানীয়দের হামলার চেষ্টা চালায় তান্ত্রিক। পুলিস পৌঁছনোর পর বাড়ির ভিতর থেকে ইট ও বাসনপত্র ছুঁড়তে শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। পুলিস ও স্থানীয় মানুষকে দূরে রাখতে বাড়ির বিভিন্ন সরঞ্জামে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় মোটরসাইকেল, গাড়ি, টিভি ও ফ্রিজ। পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে পড়ায় গুলি চালায় পুলিস। বাড়ির মধ্যে ঢুকে উদ্ধার করে আনে শিশুটিকে। স্থানীয়দের বক্তব্য, তিন বছর আগে ওই পরিবারেরই একটি মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছিল। তারপর থেকেই শিক্ষকের পরিবারে ওই তান্ত্রিকের যাতায়াত শুরু হয়। অভিযুক্ত তান্ত্রিকের বাড়ি দরং জেলার বানিকুচি গ্রামে। তবে ঠিক কী কারণে তিন বছরের এই শিশুকন্যাকে বলি দেওয়ার চেষ্টা করা হল, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।