মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
শ্রীভূমির মণ্ডপ ও প্রতিমা দেখতে জনতার উন্মাদনা নতুন নয়। এবারও তার কোনও ব্যতিক্রম হবে না। দক্ষিণ ভারতের তিরুপতি মন্দির এবার তাদের থিম। সেই মতোই মায়ের প্রতিমা সেজে উঠবে সোনার অলঙ্কারে। নৈবেদ্যে দেওয়া হবে ১ লক্ষ ঘিয়ের লাড্ডু। কবে থেকে খুলবে শ্রীভূমি? প্রশ্ন আট থেকে আশির। শুধু এই প্রশ্নেই অবশ্য আটকে নেই বাঙালি। ‘কালো টপের সঙ্গে, নীল ডেনিম মানাবে তো?’, ‘ফ্যান্সি জুতোর চেয়ে কি পুজোয় স্নিকার কেনা ভালো?’—এরকম হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে উৎসবমুখর মনে। কাজের সূত্রে যাঁদের প্রিয়জন, পরিজনদের প্রবাসে থাকতে হয়, ফি-বছর পুজোয় তাঁরা ঘরে ফেরেন। তাঁদের জন্য আঙুলের রেখায় দিন গুনছেন কত মানুষ!
রবিবার খুব ভিড় হয় বলে সোমবার নাতির জন্য জামা কিনতে গড়িয়াহাটে এসেছিলেন অর্চনা রায়। কথায় কথায় বললেন, ‘মেয়ে-জামাই কানপুরে থাকে। নাতির ৩ বছর বয়স। ষষ্ঠীর দিন আসবে ওরা। তাই কেনাকাটা করতে এসেছি। বছরে এই একবারই আসে ওরা। তাও গত বছর পারেনি।’ কসবার অর্চনাদেবী যেমন হাসছেন, তেমনই হাসি ডায়মন্ডহারবারের ইজাজ-সালাউদ্দিনদের মুখেও। পুজো এলেই তাঁরা কলকাতায় চলে আসেন খেলনা-বেলুন বিক্রি করতে। কেউ কৃষক, কেউ আবার রাজমিস্ত্রি। ইজাজ বলছিলেন, ‘কাজকর্ম করে বিকেলের দিকে গড়িয়াহাটে আসি। এখন ভালোই বিক্রি হচ্ছে। সাড়ে ন’টার ট্রেনে আবার ফিরে যাব।’ পুজোর বাজারে যা বিক্রি হবে, সেই পুঁজিই তাঁদের পরিবারের খুশির রসদ। সালাউদ্দিন বললেন, ‘পুজোর ক’দিন বাড়ি ফিরি না। রাস্তাতেই থেকে যাই। দু’-চার টাকা বেশি রোজগার হয়। বাচ্চাদের জন্য জামাকাপড় কিনতে পারি।’ হিন্দুস্তান পার্কে মণ্ডপের নীচ দিয়েই যেতে হচ্ছে পথচারীদের। পাশের দোকানে ঝোলানো নতুন জামা। বাঁশ, কাঠ, নতুন জামার গন্ধ একসঙ্গে বলে দিচ্ছে, পুজো এসে গিয়েছে!