মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
কীভাবে ঘটে চলেছে এই কাণ্ড? ডাক বিভাগের কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে প্যান জমা করা বাধ্যতামূলক। সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে মেয়াদি আমানত, পিপিএফ, এমআইএস বা রেকারিং ডিপোজিটের মতো স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প খুলতে গেলেও প্যান বাধ্যতামূলক। গ্রাহক যে প্যান জমা করেন, তা সংশ্লিষ্ট ডাককর্মী তাদের কোর ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে আপলোড করেন। আর এখানেই বহু ক্ষেত্রে ভুল প্যান আপলোড হচ্ছে। প্যানের একটি মাত্র সংখ্যাও যদি ভুলভাবে নথিবদ্ধ হয়, তাহলে সেটি অন্য কোনও ব্যক্তির প্যান হয়ে যায়।
ডাক বিভাগের সেন্ট্রাল প্রসেসিং সেন্টার রয়েছে চেন্নাইয়ে। সেখানে দেশের সমস্ত ডাকঘর গ্রাহকের তথ্য জমা হয়। সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রত্যেক গ্রাহকের আর্থিক হিসেব বা স্টেটমেন্ট আয়কর দপ্তরকে পাঠায় চেন্নাইয়ের ওই ইউনিট। কারণ, কোনও গ্রাহক একটি নির্দিষ্ট বছরে যদি সুদ বাবদ ১০ হাজার টাকার বেশি আয় করেন, সেক্ষেত্রে ওই আয়ের জন্য তাঁকে আয়কর মেটাতে হয়। এ বিষয়েই চেন্নাইয়ের ডেটা প্রসেসিং সেন্টারে ভূরি ভূরি অভিযোগ করছে আয়কর দপ্তর। কারণ, বহু আয়করদাতা ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টে অভিযোগ করছেন, সুদ বাবদ যে আয়কর দাবি করা হয়েছে, সেই পরিমাণ সুদ তাঁরা আদৌ পাননি। চেন্নাইয়ের সেন্টারটি তথ্য বিশ্লেষণ করে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায়। দেখা যায়, যে গ্রাহক সুদ ভোগ করেছেন, তাঁর প্যানের পরিবর্তে অন্য প্যানে সুদের হিসেব চলে গিয়েছে। ফলে সেই ব্যক্তির আর্থিক স্টেটমেন্টে সুদ বাবদ আয় দেখানো হচ্ছে এবং সেই মতো আয়কর দাবি করা হয়েছে। আবার যেখানে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেখানে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে যাঁর নাম থাকার কথা, তার বদলে ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে অন্যজনের নাম রয়েছে। ফলে সুদ বাবদ আয়কর চাওয়া হয়েছে দ্বিতীয় জনের থেকেই। যেখানে নাবালকের অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সাবালক হওয়ার পরও সেই অ্যাকাউন্টে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা হয়নি। ফলে আয়কর মেটাতে হচ্ছে অভিভাবককে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে আয়কর মেটানোর সময় এই সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দেয়।
তাহলে উপায়? ডাকবিভাগ একটি অন্তর্বর্তী নির্দেশিকায় বলেছে, নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার সময় বা কেওয়াইসি আপডেটের সময় অত্যন্ত সতর্ক হয়ে প্যান সংক্রান্ত তথ্য নথিবদ্ধ করতে হবে। নাবালক সাবালক হয়ে গেলে তাও সচেতনভাবে নথিবদ্ধ করতে হবে। তবে এই নির্দেশিকায় কতটা কাজ হবে, তা নিয়ে সন্দিহান সংশ্লিষ্ট কর্তারাই। তাঁদের কথায়, ‘এভাবে গাফিলতি বাগে আনা যাবে না। তৃতীয় ব্যক্তির নজরদারি প্রয়োজন।’