মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
এদিনের বৈঠকে প্রতিটি জেলা ধরে বন্যা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, সেই সময়েই দুই অতিরিক্ত জেলা শাসককে নিয়ে তাঁর প্রশ্নের মুখে পড়তে হল পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসককে। বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গত সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই পর্বে প্লাবিত ঘাটালে দুই এডিএমকে নিজেদের মধ্যে হাসিঠাট্টা করতে দেখে বিরক্ত হন তিনি। হাজার হাজার বিপর্যস্ত মানুষ যখন সব হারিয়ে খোলা ছাদের নীচে বসবাস করছেন, তখন তাঁদের জন্য কাজে না ঝাঁপিয়ে কী করে দুই সরকারি আধিকারিক গল্পে মশগুল থাকতে পারেন? বৈঠকে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরির কাছে এই প্রশ্ন রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিটি জেলার প্রশাসনিক রিপোর্ট ধরে জেলা শাসকদের কাছে বন্যা বিধ্বস্ত এলাকার বর্তমান পরিস্থিতির খোঁজ নেন মমতা। বলরামপুর থেকে শুরু করে আমতা, উদয়নারায়নপুর, খানাকুল, গোবরডাঙ্গা সহ বিভিন্ন এলাকার খবর নেন তিনি। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকেও উঠে আসে বন্যা পরিস্থিতি কথা। সূত্রের খবর, মন্ত্রীদের মমতা বলেন, যাঁদের এলাকা প্লাবিত হয়েছে, সেখানে পুজোর চেয়ে ত্রাণ ও পুনর্গঠনে বেশি জোর দিন। এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছে দিতে হবে। আর যে সমস্ত এলাকায় বন্যা হয়নি, সেখানকার মন্ত্রী-জনপ্রতিনিধিরা বন্যা দুর্গত এলাকার জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সংগ্রহ করে পাঠান। পুজোর পাশাপাশি বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন ও পুনর্গঠন এখন সমান গুরুত্বপূর্ণ।
বৈঠকের পর নবান্নে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, যতদিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, ততদিন ত্রাণের কাজ চলবে। যাদের বাড়ি ভেঙ্গেছে তাদের অন্তত তিনটে করে ত্রিপল সহ অন্যান্য সরকারি সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। জাতীয় সড়কে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটা নিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকের সঙ্গেও কথা বলা হবে। কেন্দ্রের থেকে ক্ষয়ক্ষতি বাবদ টাকা চাওয়ার প্রশ্নে তিনি বলেন, অনেক জায়গাই এখন জলের নীচে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ক্ষয়ক্ষতির সমীক্ষা সম্পূর্ণ করা সম্ভব। তার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।