মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে ভোটে পরাজয়ের পর্যালোচনা রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। সেই সূত্রে বিজেপির বারাসত জেলা সভাপতি তরুণকান্তি ঘোষ সম্প্রতি জেলা কার্যালয়ে একটি বৈঠক ডাকেন। শুরুর কিছুক্ষণ আগে তিনিই জানিয়ে দেন, বৈঠক বাতিল করা হল। ততক্ষণে কার্যালয়ে হাজির হয়ে গিয়েছেন একাধিক মণ্ডল সভাপতি সহ বিভিন্ন পদাধিকারী। তাঁদের একাংশের দাবি, ভোটের জন্য দল যে টাকা পাঠিয়েছিল, তা নিয়ে ব্যাপক বেনিয়মের অভিযোগ জমা পড়েছে দলের রাজ্য দপ্তরে। বৈঠকে এই নয়ছয় নিয়ে ক্ষোভের বিস্ফোরণ হতো বলেই তা বাতিল করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘ভোটে আসা টাকার হিসেব নিয়ে কথা উঠবে বুঝেই তড়িঘড়ি বৈঠক বাতিল করেছেন জেলা সভাপতি।’
এদিকে, বারাসতের প্রার্থীকে নিয়ে ভোটের আগে থেকে তৈরি হওয়া অসন্তোষ এখনও চলছে বিজেপির অন্দরে। প্রচারে এসে প্রার্থী স্বপন মজুমদার ‘ঘরের ছেলে’ হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। ফলাফল প্রকাশের পর এলাকা থেকে তিনি কার্যত বেপাত্তা হলেও ধুমধাম করে বিয়ে সেরে নিয়েছেন এর মধ্যেই। পরাজয়ের পর থেকে বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক কার্যালয়ও কার্যত শুনশান। তালা ঝুলছে। তা নিয়েও বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ বাড়ছে। মণ্ডল সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক না করে বা কথা না বলে বর্তমান জেলা সভাপতি কীভাবে রিপোর্ট জমা দেন, প্রশ্ন উঠেছে। জেলা বিজেপির সভাপতি তরুণবাবু বলেন, ‘খারাপ আবহাওয়ার কারণে বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। যাঁরা দলবিরোধী কথা বলছেন, তাঁরা দলের সঙ্গে কতটা আছেন, জানি না। এসব বিষয় সংবাদমাধ্যমের কাছে বলার কোনও মানে হয় না। পর্যালোচনা রিপোর্ট মণ্ডল সভাপতিদের থেকে নিয়েই জমা দেওয়া হয়েছে।’ এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর কটাক্ষ, ‘বিজেপি হল জনবিরোধী শক্তি। গোটা দেশেই মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে ওদের। আসলে ওরা উন্নয়ন নয়, তোলাবাজিতে বিশ্বাসী। সেটা ওঁদের কথাতেই স্পষ্ট। কিছুদিন পরে বিজেপির কার্যালয়ে একটা লোকও থাকবে না।’