শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
২০১১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর অর্থ দপ্তর একটি নির্দেশিকা জারি করে চুক্তি ভিত্তিক কর্মীদের ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরির নিরাপত্তা, নির্দিষ্ট বেতন, নিয়মিত বেতন বৃদ্ধি, ছুটি, অবসরকালীন এককালীন অর্থ দেওয়ার ব্যবস্থা করে। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রস্তাব নিয়ে ছ’ হাজারের বেশি চুক্তি ভিত্তিক কর্মী নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ওই কর্মীরা ছাড়াও আগে নিযুক্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের এইসব সুযোগ সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তার জন্য অবশ্য চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে ১০ বছর ধরে প্রতি বছরে ২৪০ দিন কাজ করতে হবে। ওই নির্দেশিকা জারি হওয়ার পরও অনেক দপ্তরেই চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা ওই সব সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। তবে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুমোদিত পদে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিযুক্ত হলে তবেই সুবিধাগুলি মিলবে। বাম আমলে নির্দিষ্ট নিয়ম না মেনে বহু অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল। তাছাড়া ঠিকাদারের মাধ্যমে নিযুক্ত বহু কর্মী বিভিন্ন দপ্তরে কাজ করেন। ওই ধরনের কর্মীরা সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বর্ধিত হারে বেতন ও সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না। ফলে তাঁদের মধ্যে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। নিয়ম মেনে নিযুক্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতন দফায় দফায় বেড়েছে। এবারের বাজেটে ঘোষণার পর অর্থদপ্তর বিজ্ঞপ্তি জারি করে বেতন আরও দুই হাজার টাকা করে বাড়িয়েছে। এতে পাঁচ বছরের কম সময় কাজ করা চুক্তিভিত্তিক গ্রুপ ডি কর্মীদের বেতন বেড়ে ১২ হাজার টাকা হয়েছে। চাকরির মেয়াদ বেশি হলে বেতন সেই অনুযায়ী বাড়বে।
পূর্ত দপ্তর যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, ২০১১ সাল ও পরবর্তীকালে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য অর্থ দপ্তর যে বিজ্ঞপ্তিগুলি জারি করেছিল, তার উল্লেখ রয়েছে। নির্দিষ্ট প্রোফর্মায় জানাতে হবে, অনুমোদিত পদে ওই চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে কি না। কবে ওই নিয়োগ হয়েছিল এবং ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর বেতন কত ছিল, সেটাও জানাতে বলা হয়েছে।
এই ব্যবস্থার মাধ্যমে পূর্ত দপ্তর সেখানে কর্মরত চুক্তি ভিত্তিক কর্মীদের সম্পর্কে তথ্য পেয়ে যাবে। অনুমোদিত পদে নিয়োগ কাদের করা হয়েছে সেটাও জানা যাবে। এর জন্য প্রামাণিক প্রয়োজনীয় নথি পাঠাতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারি ফেডারেশনের কোর কমিটির সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই উদ্যোগকে তাঁরা স্বাগত জানিয়েছেন। চুক্তি নিযুক্ত গ্রুপ ডি কর্মীদের গ্রুপ সি পদে উন্নীত করার যে ঘোষণা বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছে সেটাও এই উদ্যোগের মাধ্যমে কার্যকর হবে। চুক্তি ভিত্তিক গ্রুপ ডি টানা তিন বছর কাজ করলে এই পদোন্নতির সুযোগ পাবেন। এই সংক্রান্ত সরকারি বিজ্ঞপ্তিও ইতিমধ্যে জারি করা হয়েছে।