গৃহ সংস্কারের প্রচেষ্টায় সফল হবেন। শরীর চলনসই থাকবে। গৃহ পরিবেশগত ক্ষেত্রে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। ... বিশদ
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের আমন্ত্রণে ইন্দোরে গিয়েছিল দমদমের ওই নাট্য সংস্থা। ৭ ফেব্রুয়ারি ভোপালে নাটক মঞ্চস্থ করে তারা। ৮ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ইন্দোর থেকে হাওড়া ফেরার উদ্দেশে শিপ্রা এক্সপ্রেসে চাপেন নাট্যকর্মীরা। বাতানুকূল থ্রি টিয়ার এম-ওয়ান কামরায় ছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, পরদিন সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ মধ্যপ্রদেশরই পাথারিয়া স্টেশনে একদল লোক হুড়মুড়িয়ে কামরায় ঢুকে সিট দখলের চেষ্টা করে। তাদের বাধা দিতে গেলে নাট্যকর্মীদের ব্যাগ কেড়ে নিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ প্রয়াগরাজ স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ালে রেল পুলিসের কাছে সাহায্য চাইতে যান নাট্যকর্মীরা। অভিযোগ, যাত্রীদের সুরক্ষা দেওয়ার বদলে বাঙালি শুনেই তাঁদের হেনস্তা করতে শুরু করে আরপিএফ। নাট্যকর্মীদের বলা হয়, ‘আপলোগ বাঙালি হো। থোড়া অ্যাডজাস্ট করো।’ যাত্রীরা কেন রেলের তরফে সুরক্ষা পাবেন না, জিজ্ঞেস করতেই যাত্রীদের উপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে আরপিএফ কর্মীরা। মারের চোটে আহত হন শ্রেয়া সাহা, সুদীপ্ত দাস ও সুব্রত মাঝি নামের তিন নাট্যকর্মী।
সোমবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ হাওড়া স্টেশনে নেমেই ক্ষোভ উগরে দেন নাট্যকর্মীরা। হাওড়া জিআরপিতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। নাট্য সংস্থার কর্মী সুদীপ্ত চৌধুরী বলেন, ‘প্রয়াগরাজ থেকে ছাড়ার পরেও আমরা রেহাই পাইনি। এদিন ভোরে মুখঢাকা একদল দুষ্কৃতী কামরার ভিতর ঢোকে। ওরা আমাদের বের করে দিতে চাইছিল। প্রাণ হাতে নিয়ে ফিরতে হয়েছে।’ আক্রান্ত মহিলা সদস্যের কথায়, ‘গোটা রাত তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রক ও রেলকে ইমেল করে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ করেও লাভ হয়নি। সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। মনে হচ্ছিল আমাদের মেরেই ফেলবে। বাঙালি হওয়াই কি অপরাধ আমাদের?’ বিষয়টি নিয়ে হাওড়া জিআরপির এক আধিকারিক বলেন, ‘নাট্যকর্মীদের তরফে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। চলন্ত ট্রেনে ভিনরাজ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। সেখানে রেল পুলিসের কাছে অভিযোগ ফরোয়ার্ড করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’