মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
সব জেনে ওই ছাত্রী মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছিল। সম্প্রতি উত্তর কলকাতার ওই স্কুলে একটি আইনি সচেনতা শিবিরের আয়োজন করেছিল কলকাতা লিগ্যাল এইড। সেখানেই সংস্থার কর্তাব্যক্তিদের কাছে সাহস করে পুরো বিষয়টি খুলে বলে ছাত্রীটি। এরপরই তাঁদের উদ্যোগে আটকানো সম্ভব হয় ওই নাবালিকার বিয়ে। ওর উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা করেন সকলে।
কলকাতা লিগ্যাল এইডের সচিব তথা বিচারক মৌ ঘটক মজুমদার বৃহস্পতিবার বলেন, আমরা ছাত্রীটির মুখ থেকে সমস্ত কিছু শোনার পর তার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলি। তার বাবা‑মাকে বোঝানোর চেষ্টা করি, আপনার মেয়ে নাবালিকা। আর তা ছাড়া ও যখন পড়াশোনা করতে চাইছে, তখন কেন মাঝপথে ওর স্বপ্নকে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে? সমস্ত কিছু শোনার পর ছাত্রীটির পরিবার মেয়ের বিয়ে দেওয়া থেকে সরে আসে।
এদিকে, ছাত্রীটি যাতে ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারে, সেজন্য স্কলারশিপেরও বিষয়টি নিয়ে শিক্ষাদপ্তরের সঙ্গে নিয়ে কথা বলবে কলকাতা লিগ্যাল এইড। পাশাপাশি পণ হিসেবে যে দেড় লক্ষ টাকা পাত্রপক্ষ নিয়েছিল, তাও ফেরানোর জন্য সেখানকার সরকারের সঙ্গে কথা বলবে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে চলা কলকাতা লিগ্যাল এইড। কাশীপুরের বাসিন্দা ছাত্রীটির বিয়ে শেষ পর্যন্ত আটকানোয় খুশি আইনি সহয়তা কেন্দ্রের কর্তারা ছাড়াও ছাত্রীটির স্কুলের বন্ধুরা। আর ছাত্রীটির কথায়, আমার বিষয়ে সকলে এগিয়ে আসায় শেষ পর্যন্ত আমি সাফল্য লাভ করেছি। সহযোগিতা পেয়েছি স্কুলের দিদিমণিদেরও। তাই শেষ দিন পর্যন্ত এই ভালো মানুষগুলোর কথা মনে রাখব।