নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ছুটির দিনে কাজ চলছিল কেন? সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ সেখানে কী করছিলেন ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা? একজন খালাসি, যে গাড়ি চালাতেও পারে না, সে কেন পে-লোডারের ড্রাইভিং সিটে বসেছিল? এমন নানা প্রশ্নকে সামনে রেখেই বাঁশদ্রোণীর দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করল কলকাতা পুরসভা। পুরকর্তারা জানাচ্ছেন, প্রাথমিকভাবে এটা স্পষ্ট যে, ঠিকাদার সংস্থার গাফিলতি ছিল। ফলে স্বাভাবিকভাবে নিয়মমাফিক পদক্ষেপ করা হবে। 
বুধবার সকালে বাঁশদ্রোণী এলাকার দীনেশনগর অটোস্ট্যান্ডের রাস্তায় পে-লোডার উল্টে পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় নবম শ্রেণির এক ছাত্রের। যার জেরে বিক্ষোভে উত্তাল হয় গোটা এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ছিল, বছরের পর বছর ধরে ভূগর্ভস্থ নিকাশি পাইপলাইনের কাজ হয়েছে। কিন্তু তারপরে আর রাস্তা মেরামতি হয়নি। গোটাপথে বড় বড় খানাখন্দ। জল জমে কার্যত বেহাল দশা রাস্তার। ওখানে পুরসভার অধীনে কেইআইআইপি প্রকল্পের কাজ চলছে। অভিযোগ, এই অবস্থায় রাস্তার ধারে থাকা পে-লোডারে যে ছেলেটি বসেছিল, সে ড্রাইভার নয়, খালাসি। সে ওখানে পে-লোডার চালানো ‘প্র্যাকটিস’ করছিল বলে অভিযোগ। স্বাভাবিকভাবেই ঠিকাদার সংস্থার ভূমিকা এখানে প্রশ্নের মুখে। পুরসভার কেইআইআইপি প্রকল্পের এক আধিকারিকের কথায়, ওখানে যে পে-লোডারটি ছিল, তার ঠিকাদার সংস্থাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওরা শর্ত ভেঙেছে। ছুটির দিনে ওই সংস্থা কোনও কাজ করে না। তাহলে ওই সাত সকালে কেন ঠিকাদার সংস্থার কর্মী পে-লোডারের উপর বসেছিল, সেই প্রশ্নের উত্তর আমাদের অজানা। তাঁর সংযোজন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে একটা মৃত্যু ঘটে গিয়েছে। পুলিস তদন্ত করছে। এবার ঠিকাদার সংস্থার ভূমিকা নিয়ে আমাদের অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হয়েছে। টেন্ডারে নিয়ম রয়েছে, যে কোনও কাজের ক্ষেত্রে ‘সেফটি এবং সিকিউরিটি’ বজায় রাখতে হবে। এখানে সেটা মানা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই ওই সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।