মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার দীনেশনগরের ওই রাস্তায় পরিবেশ এখনও খানিকটা হলেও থমথমে। তবে, অন্যদিনের মতোই গাড়ি, অটো চলছে। দোকানপাটও খোলা। কিন্তু কোথাও যেন রয়েছে চাপা ক্ষোভ, অভিযোগ। এদিন সকাল থেকে ইট ফেলে রাস্তা ‘আপাতত’ মেরামত করার কাজ শুরু হয়েছে। এক অটো চালক শৈলেন কুণ্ডু বলেন, রাস্তার যা হাল, তাতে আকছার ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। রাস্তার খানাখন্দে পড়ে মাঝেমধ্যেই অটোয় নানা সমস্যা হয়। টুকটাক খরচ লেগেই রয়েছে। কিন্তু কাল যেভাবে ছেলেটা মারা গেল, এটা মেনে নেওয়া যায় না। ছেলেটা মরার আগে কেন রাস্তা ঠিক হল না? এখন সারাচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে এভাবেই ফেলে রেখেছিল। স্থানীয় দোকানদার মলয় দাসের গলায়ও অসন্তোষ স্পষ্ট। তাঁর কথায়, রাস্তাটা আগে সারালে এমন দুঃখজনক ঘটনা ঘটত না। পুজোর মুখে যে মায়ের কোলে শূন্য হল, তাঁর তো কপাল পুড়ল! এই রাস্তা ছাড়াও অঞ্চলের আরও অনেক রাস্তাই খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরে কলকাতা পুরসভার আওতাধীন কেইআইআইপি প্রকল্পের কাজ চলছে দীনেশনগরে। ভূগর্ভস্থ নিকাশি পাইপলাইন বসানো হয়েছে। বাঁশদ্রোণী, কুঁদঘাট, গড়িয়া, হরিদেবপুর, বেহালা, জোকার মতো বিভিন্ন ওয়ার্ডে একাধিক রাস্তায় সেই কাজ চলছে। কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগ, কাজ শেষ হয়ে গেলেও রাস্তা সারাই করা হয় না। কোথাও ডাঁই হয়ে পড়ে থাকে মাটি। কোথাও আবার প্যাচওয়ার্কের পিচ উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। কেইআইআইপি প্রকল্পের কাজের মান নিয়ে বেশ কয়েকবার প্রকাশ্যই নিজের ক্ষোভ জানিয়েছেন খোদ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পুজোর আগে প্রকল্পের আওতাধীন রাস্তাগুলি মোটোমুটি চলারযোগ্য করে দেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি। তার মধ্যেই ঘটে গেল এই দুর্ঘটনা।