মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
আদতে নদিয়ার রানাঘাট পুলিস জেলার বাসিন্দা ফণীন্দ্র মাহাত। সদ্য সমাপ্ত কলকাতা পুলিসের কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষায় চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। গত ছ’সাত মাস ধরে পুলিসের ট্রেনিংয়ে রয়েছেন। এমনকী এই সময় কালে, যথারীতি বেতনও তুলেছেন। সম্প্রতি রানাঘাট পুলিস জেলার ডিআইবি’র পাঠানো গোপন রিপোর্টে লালবাজার জানতে পেরেছে, নিয়োগের সময় এই কনস্টেবলের জমা দেওয়া জাতিগত শংসাপত্র বা সার্টিফিকেটটি জাল। বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় লালবাজারে। কলকাতা পুলিসের যুগ্ম কমিশনার (সদর) মিরাজ খালিদের নির্দেশে হেয়ার স্ট্রিট থানায় এফআইআর দায়ের করেছে লালবাজার। যার ভিত্তিতে সদ্য নিযুক্ত ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, জালনথিকে আসল বলে চালানো, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মতো একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ গুরুতর হওয়ায় ইতিমধ্যে এই মামলার তদন্তভার কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগের জালিয়াতি দমন শাখার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। লালবাজার সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হয়েছেন, উত্তর ২৪ পরগনার এক মহকুমা শাসকের (এসডিও) নাম করে ওই জাতিগত সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছে। কিন্তু লালবাজারকে সংশ্লিষ্ট এসডিও জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ওই সার্টিফিকেট তাঁর ইস্যু করা নয় এবং সেটি জাল।’ গোয়েন্দাদের অনুমান, এই কনস্টেবল একা নয়। এই চক্রে আরও কেউ জড়িত থাকার সম্ভবনা রয়েছে। সাম্প্রতিক কালে কলকাতা পুলিস বা রাজ্য পুলিসের কনস্টেবলের নিয়োগ পরীক্ষায় বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর থেকে একাধিক ভুয়ো চাকরি প্রার্থী গ্রেপ্তার হয়েছেন। কিন্তু এভাবে নিয়োগের দায়িত্বে থাকা পুলিসকর্মীদের কার্যত বোকা বানিয়ে জাল নথি পেশ করে চাকরি পাওয়ার ঘটনা অভিনব বটে। তবে এই অভিযুক্ত কনস্টেবল ফণীন্দ্র মাহাতকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি গোয়েন্দা বিভাগ। তবে খুব শীঘ্র তাকে গ্রেপ্তার করা হবে, দাবি লালবাজারের।