কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
কীভাবে পিভিসি পাইপে আগুন লাগল তা নিয়ে দমকল ও পুলিস আধিকারিকরা খোলসা করতে বলতে পারেনি। কারণ, পাইপ যেখানে মজুত করা ছিল, সেখানে কোনও বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। ফলে তা থেকে আগুন লেগেছে বলা যাবে না। পাশাপাশি পিভিসি পাইপে বিড়ির আগুন লাগলেও কোনও ভাবে পুড়বে না। তাহলে আগুন লাগল কীভাবে-এই প্রশ্ন নিয়ে মহেশতলা জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে। পুরসভার জল বিভাগের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল পীযূষ দাস এর ভিতর সাবোতাজের গন্ধ পাচ্ছেন। তিনি বলেন, কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে এই কাজ করা হয়েছে। পীযূষবাবুর কথায়, পাইপ নষ্ট করার জন্য কেরোসিন কিংবা পেট্রল ঢেলে সেখানে আগুন লাগানো হয়েছে বলে আমাদের সন্দেহ। না হলে কোনও ভাবে আগুন ধরার কথা নয়। পুলিসকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
মহেশতলা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ থেকে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে নিকাশি নিয়ে অনেকদিন ধরে সমস্যা রয়েছে। সেই কারণে পুরসভা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ভূগর্ভস্থ নিকাশি তৈরির কাজ শুরু করেছে। পিভিসি পাইপ সরাসরি পুরসভার পক্ষ থেকে কিনে ঠিকাদারদের দেওয়া হচ্ছে। এজন্য বাটা কোম্পানির ভিতর রিভার প্রজেক্টের মধ্যে নিউল্যান্ড প্রাথমিক স্কুলের কাছে ফাঁকা জায়গাতে পাইপগুলি রাখা হয়েছিল। ইতিমধ্যে সব মিলিয়ে পাঁচ কোটি টাকার পাইপ কেনা হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। তারমধ্যে ১৯, ২০, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে নিকাশির কাজ শুরু হওয়াতে সেখানে অনেক টাকার পাইপ চলে গিয়েছে। এবার ১ নম্বর থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ডে কাজের জন্য প্রস্তুতি চলছিল। শুক্রবারও কয়েকটি লরিতে পাইপ এনে ওই জায়গাতে মজুত করা হয়। শনিবার আচমকা মজুত পাইপে আগুন ধরে যায়।
নিউল্যান্ড স্কুলের আশপাশ ওই জায়গাটি একেবারে ফাঁকা থাকায়, কীভাবে আগুন লাগল তা কেউ দেখতে পায়নি। অনেকের আশঙ্কা, রাতে পাইপের কাছাকাছি ঘাসের উপর ঠাণ্ডা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য কেউ আগুন ধরাতে পারে। সেই আগুন ঘাসে লেগে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পাইপে এসে লেগেছে। তারপর ধিকধিক করতে করতে এদিন বড় আকার নিয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলার পীযূষবাবু তা মানতে নারাজ। তিনি বলেন, পাইপগুলির অগ্নিপ্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই বেশি যে ওইভাবে আগুন লাগার কোনও সুযোগ নেই। দাহ্য তরল কোনও জিনিস এর উপর ফেলে আগুন ধরানো হয়েছে। কিন্তু কেন? মহেশতলা পুরসভার অন্দরমহলে এ নিয়ে চর্চা চলছে। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, কোটি কোটি টাকার পাইপের বরাত পাওয়ার জন্য অনেকে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পুরসভার এক প্রভাবশালী ব্যক্তি সকলকে টেক্কা দিয়ে তা হস্তগত করেন। স্বাভাবিকভাবে ওই পাইপের বরাত না পাওয়া অংশ এভাবে সাবোতাজ করে তার বদলা নিয়েছে। এ ব্যাপারে মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাসের প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য মোবাইলে তাঁকে ধরা হয়। কিন্তু মোবাইল বেজে গেলেও তিনি ধরেননি।