নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: হাওড়া শহরে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এলেও পার্শ্ববর্তী এলাকায় তার প্রভাব ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। শনিবারই আন্দুল রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ডোমজুড়ের ঝাপড়দহ এলাকার এক যুবতীর মৃত্যু হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ব্লকে অন্তত ৫০০ জন এখন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বেসরকারি হিসেবে সংখ্যাটি অনেক বেশি। ডেঙ্গু প্রতিরোধে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে দাবি করলেও বাস্তবে তার যে কোনও প্রতিফলন পড়ছে না, তা একের পর এক ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনাই প্রমাণ করে দিচ্ছে বলে এলাকার লোকজনের অভিযোগ। ইতিমধ্যেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাওড়া শহরে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আর সমগ্র জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই এই নিয়ে প্রতিটি পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে এই নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের টিমও বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভবানী দাস বলেছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে অমারা একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছি। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দপ্তরের টিম বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছে। পঞ্চায়েত সমিতিগুলিও এই নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধক্ষ্য সুবীর চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, আমাদের কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছেন। যে সমস্ত এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি সেখানে ব্লিচিং পাউডার, মশা মারার তেল ও ফগিং করা হচ্ছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত তা চালানো হবে। যদিও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা বলেছেন, এখনও ঠান্ডা সেভাবে না পড়ার কারণেই এই সমস্যা হচ্ছে। তা না হলে এতদিন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চলে আসত।