শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
শুক্রবার থেকে সহ উপাচার্য (আপাতত ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য) প্রদীপ ঘোষকে ঘেরাও করে রেখেছেন আন্দোলনকারীরা। যদিও তাঁরা এই কর্মসূচিকে অবস্থান বলে দাবি করেছেন। ছাত্র কাউন্সিল গঠনের বিরোধিতা করে প্রদীপবাবুকে নিজেদের বক্তব্য জানাতে গেলে, তিনি তা শুনতে রাজি হননি। এই অভিযোগ তুলে অনড় মনোভাব দেখাচ্ছেন পড়ুয়ারাও। তাঁদের বক্তব্য, আমরা আমাদের কথা বলতে তাঁর কাছে গেলে, তিনি কিছুই শুনতে চাইছেন না। কয়েকটি সীমিত কথা ছাড়া আর কিছু বলতে রাজি নন সহ উপাচার্য। ফলে অবস্থান যেমন চলছিল, তেমনই চলবে। রবিবার বিকেলে ৪৮ ঘণ্টা অতিক্রম করেছে এই ঘেরাও। আজ, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি। নতুন করে কোনও বড় কর্মসূচি এখনই ঘোষণা করেননি আন্দোলনকারীরা। কিন্তু পরিস্থিতি যা, তাতে এই আন্দোলন ওঠার কোনও পথ দেখা যাচ্ছে না। তার মধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই মনোভাবে অসন্তুষ্ট।
মন্ত্রীকে এদিন প্রশ্ন করা হয়, যাদবপুর নিয়ে শিক্ষাদপ্তরের তরফে কোনও রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে? পার্থবাবু বলেন, না, কোনও কিছু চাওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে শিক্ষা দপ্তর ঢুকবে না। কেউ খারাপ ব্যবহার করলে, তাঁকে বোঝাতে হবে, তিনি ভুল কাজ করেছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় সেরকম কোনও কাজ যেহেতু এখনও পর্যন্ত করেনি, তাই আরও বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছেন মন্ত্রী। এমনটাই মনে করছে শিক্ষামহল। পড়ুয়ারা যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দাবি করেছেন, তাতেও রাজি নন মন্ত্রী। এদিন কটাক্ষ করে তিনি বলেন, এটা কি লেবার কমিশনের অফিস নাকি, যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে! সব নিয়ম ভেঙে শুধু যাদবপুরের জন্য পৃথক নিয়ম চালু করা সম্ভব নাকি!
মন্ত্রীর এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত নন পড়ুয়ারা। আর্টস ফ্যাকাল্টি ছাত্র সংসদ আফসুর সাধারণ সম্পাদক দেবরাজ সামন্ত বলেন, শুধু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আমরা ইউনিয়ন দাবি করছি, তা কিন্তু নয়। গোটা রাজ্যের জন্যই এই দাবি করা হচ্ছে। যাদবপুর তো আর রাজ্যের বাইরে নয়। আর উনি আমাদের সঙ্গে বৈঠক করতে চাইছেন না। তাই আমরা আমাদের আন্দোলন আরও জোরদার করব। যাতে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে বাধ্য হন তিনি।