শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ওই মহিলা ট্যাংরা থানায় আগরতলার এক যুবকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ তুলে এফআইআর দায়ের করেন। ভবানীপুরের বাসিন্দা ওই মহিলার অভিযোগ ছিল, ফেসবুক সূত্রে ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর আলাপ। পরে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। কলকাতায় এলে ট্যাংরার অতুল শূর রোডে ওই যুবকের এক আত্মীয়ের ফ্ল্যাটে তাঁদের দু’জনের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয় বলে অভিযোগ করেন ওই মহিলা। তাঁর আরও অভিযোগ, ওই যুবক তাঁকে আর্থিক প্রতারণাও করেছেন। পরবর্তীকালে তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেছে সে। এই অভিযোগের পর অভিযুক্ত গ্রেপ্তারি এড়াতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা ও দায়রা বিচারকের এজলাসে আগাম জামিনের আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে। এদিকে, ওই গৃহবধূ শিয়ালদহে আদালতে একজন বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের (জেএম) কাছে ‘গোপন জবানবন্দি’ দেন।
এদিকে, মামলার তদন্ত শেষ করে ট্যাংরা থানার তদন্তকারী অফিসার (আইও) দিবাকর গবুর গত বছরের ১৮ জুলাই শিয়ালদহের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (এসিজেএম) আদালতে চার্জশিট পেশ করেন। মামলায় তথ্যপ্রমাণ হিসেবে পুলিস পেশ করে ওই যুবকের মোবাইল ফোনের পূর্ণাঙ্গ কললিস্ট, মেডিক্যাল রিপোর্ট, বিভিন্ন সাক্ষীর বক্তব্য ইত্যাদি। নিম্ন আদালতে চার্জশিট জমা পড়ার পর মামলাটি বিচারের জন্য যায় প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের এজলাসে। সেখানে চার্জ গঠনের সময় অভিযুক্তের আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অবস্থাতেই মামলা চলতে পারে না। চার্জ গঠনের পর শুরু হয় মামলার শুনানি। মাত্র দু’দিনের শুনানিতেই বিচারক মামলা থেকে রেহাই দেন ওই ব্যক্তিকে। রায় দিতে গিয়ে বিচারক বলেন, শুধুমাত্র পুলিসের কাছে অভিযোগ করলেই হবে না। তার সারবত্তা থাকতে হবে। এই মামলার বিভিন্ন সাক্ষ্য সাবুদে আদালত কোনওভাবেই সন্তোষ প্রকাশ করতে পারেনি।