শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
কল্যাণী পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের এ-ওয়ান এলাকায় ১৯৫১ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজ্যপাল কৈলাসনাথ কাটজু কল্যাণী নগরীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। সেই শিলান্যাস আজও সেখানে অক্ষত রয়েছে। কল্যাণী শিল্পাঞ্চলে পিএইচই গোডাউনের ভিতরে শিলাটি রয়েছে। বহু বছর এই শহরের মানুষ এই শিলার বিষয়টি জানতেন না। ফলকটি একেবারে ঝোপ, জঙ্গলে ভরা ছিল। তা কারও নজরেও পড়ত না। ফলে, এই শহরের জন্মদিনও পালন হয়নি। বছর তিনেক আগে গোডাউনের পাশে জঙ্গল পরিষ্কার করে শিলাখণ্ডে মালা দিয়ে এই শহরের জন্মদিন পালন করা শুরু হয়। কিন্তু, সেটা একেবারে স্থানীয়ভাবে। এই শহরের জন্মদিন পালনে জেলা প্রশাসন, মহকুমা প্রশাসনের কোনও উদ্যোগই চোখে পড়ে না।
এ বিষয়ে কথা হচ্ছিল, স্থানীয় কাউন্সিলার তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান কল্যাণ দাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, কয়েক বছর আগে আমি বিষয়টি জানতে পারি, পিএইচই’র গোডাউনের ভিতরে এই শহর শুরু হওয়ার শিলাটি রয়েছে। কিন্তু, কোথায় তা জানতাম না। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলার হওয়ার পর বছর তিনেক আগে ওই জঙ্গল পরিষ্কার করে ফি বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে সেখানে মালা দিয়ে মোমবাতি জ্বেলে এই শহরের জন্মদিন পালন করি। তিনি আরও বলেন, এক সময় এই জায়গার নাম ছিল, রুজভেল্ট নগর। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায় এই শহরের নামকরণ করেন কল্যাণী নামে। যদিও শিলান্যাসে তাঁর কোনও নাম নেই। শুধু ফলকে রাজ্যপালের নাম উল্লেখ রয়েছে। ফলকটি খুব অনাদরে পড়ে রয়েছে। আমরা পুরসভার পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়ে ফলকটিকে অন্যত্র সরিয়ে শহরের মধ্যে ভালো কোনও পার্কে স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা করেছিলাম। তাতে সাধারণ মানুষও ওই ফলকটিকে সবসময় দেখতে পেতেন। কিন্তু, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ওই ফলক সরানো যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুরসভার চেয়ারম্যান সুশীল তালুকদার বলেন, ওই ফলকের বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। জানার পর আমরা সেটি সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যে জায়গায় শিলান্যাস হয়েছিল, সেটি এখন পিএইচই’র গোডাউন। ফলে, আমাদের পুরসভার পক্ষ থেকে ওই ফলকটিকে সামনে রেখে কোনও কিছু করার ইচ্ছা থাকলেও তা করতে পারছি না। তাই সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে চিঠি দিয়ে আমরা জানিয়ে দিয়েছি, ওই জায়গাটি পেলে আমরা সৌন্দর্যায়ন করে সংরক্ষণ করে রাখব।