শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
মা উড়ালপুলে বারবার এমন ঘটনা ঘটছে। পুলিসও এই মাঞ্জা বিরোধী প্রচার করছে। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতি না বদলানোয় উদ্বিগ্ন লালবাজারের কর্তারা। তাঁদের আশঙ্কা, এই সুতোর দাপটে আগামীদিনে কারও না প্রাণহানি ঘটে যায়! তবে বাইক চালকদের দাবি, পুলিস যদি ধরপাকড় শুরু করে, তাহলে এই মাঞ্জায় ঘুড়ি ওড়ানো বন্ধ করা সম্ভব।
শান্তনুবাবুর কথায়, প্রতিদিনই আমি মা উড়ালপুলের পুরনো র্যাম্প দিয়ে যাতায়াত করি। গত কয়েক বছর ধরেই হাওড়া থেকে এ জে সি বোস রোড উড়ালপুল হয়ে মা উড়ালপুল ধরে সল্টলেকে কাজে যাই। আমি শুনেছিলাম, চীনা মাঞ্জায় কীভাবে বিপদে পড়ছেন বাইক চালকরা। এবার সেই অভিজ্ঞতা আমার হল। শান্তনুবাবু হেলমেট পরলেও নাক পর্যন্ত রুমাল বেঁধেই বাইক চালান। তিনি বলেন, নতুন র্যাম্পে উঠতেই কিছুক্ষণের মধ্যে মনে হল, মুখের একটা অংশে জ্বালা করতে শুরু করল। সঙ্গে সঙ্গে আমি বাইক থামাই। রুমাল খুলতেই দেখি, গালের একাংশ ফালাফালা হয়ে গিয়েছে। ঠোঁটের পাশেও কেটে গিয়েছে। যেখানে দাঁড়িয়েছিলাম, সেখানে দেখি ঘুড়ির সুতো ঝুলছে। বুঝতে অসুবিধা হয়নি, চীনা মাঞ্জার কবলে পড়েছি। এরপরই শান্তনুবাবু প্রাথমিক চিকিৎসা করান।
পুলিস প্রশাসনের একাংশের কথায়, তিলজলা, তপসিয়া, বেনিয়াপুকুর— এই তিনটি থানা এলাকাতেই চীনা মাঞ্জার দাপট বেশি। গত এক-দেড় বছরে যা মারাত্মক আকার নিয়েছে। পুলিস প্রচার করেই ক্ষান্ত থাকছে। কিন্তু মাঞ্জার বিক্রিতে রাশ নেই। চোরাগোপ্তাভাবে চলছে এই নিষিদ্ধ মাঞ্জার বিক্রি। অতীতে এই মাঞ্জায় আক্রান্ত চালকদের অভিযোগ, পুলিসও বুঝতে পারছে, কোন জায়গা থেকে এই সুতোয় ঘুড়ি ওড়ানো হচ্ছে। কিন্তু রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণেই ধরপাকড় করতে পারছে না। পুলিস অবশ্য এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, প্রচারে কোথাও খামতি থেকে যাচ্ছে। তাই প্রচারে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। একদিন বা দু’দিন নয়, লাগাতার প্রচার চালিয়ে যেতে হবে।