মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
প্রায় আট সেশন নষ্ট হওয়ায় এই পরিস্থিতিতে প্রশ্নের মুখে পড়ছে গ্রিন পার্কের পরিকাঠামো। বৃষ্টি না হওয়া সত্ত্বেও খেলা শুরু করা যায়নি রবিবার। মিডিয়া বক্সের দিকে বোলারের রান-আপ, মিড অফ ও মিড অন অঞ্চল ভেজা ছিল দিনভর। আউটফিল্ডের এই অবস্থায় আম্পায়াররা দুপুর দুটো নাগাদ এদিনের মতো খেলা বাতিল বলে জানান। অথচ, তারপরই ওঠে রোদ। আসলে মাঠ শুকানো করার উন্নত পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে গ্রিন পার্কে। জলনিকাশি ব্যবস্থা একেবারেই মান্ধাতা আমলের। তাহলে এমন মাঠে টেস্ট আয়োজন কেন, প্রশ্ন ক্ষুব্ধ ক্রিকেটপ্রেমীদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই লিখছেন যে, অন্য কোনও মাঠ হলে ঠিকই খেলা হতো।
ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বোর্ড। শনিবারই আইপিএলে ম্যাচ ফি চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের হাতে দল গড়ার জন্য টাকার অঙ্কের পরিমাণও বাড়ছে। সেজন্যই টেস্ট ক্রিকেটের ক্ষেত্রে এই অবহেলা রীতিমতো উদ্বেগের। কেন আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখা হবে না ভেন্যু বাছাইয়ের সময়? ২০১৯ সালে সেইসময়ের ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি দাবি করেন, টেস্ট হোক বাছাই করা কয়েকটি কেন্দ্রে। যাতে আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনও খামতি না থাকে। কানপুরের ক্ষেত্রে যেমন ড্রেনেজ সিস্টেমে উন্নতির প্রয়োজন পরিষ্কার। পুরো মাঠ ঢাকা থাকলেও যদি আউটফিল্ড ভেজা থাকে, তাহলে ‘কভার’ এর গুণমান নিয়েও সংশয় থাকছে। বৃষ্টি থামার পর দ্রুত খেলা শুরু করাই যে কোনও মাঠের পক্ষে চ্যালেঞ্জ। সেখানে ডাহা ফেল গ্রিন পার্ক। মাথায় রাখতে হবে যে ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্যই ক্রিকেটের রমরমা। পরপর দু’দিন খেলা না হওয়া টেস্টের জন্যও অত্যন্ত খারাপ বিজ্ঞাপন। দর্শকরা কিন্তু পিচের কভার তোলা আর আম্পায়ারদের পরিদর্শন দেখার জন্য টিকিট কাটেন না। টানা দু’দিন খেলা না হওয়া রোহিতদের লোকসানের পাশাপাশি টেস্ট ক্রিকেটেরও মস্ত ক্ষতি।