পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
যাত্রীরা জানান, বেশকয়েক বছর আগে আসানসোল ডিভিশনের প্রায় সমস্ত স্টেশনেই রিটার্ন টিকিট কাটা যেত। ফলে গন্তব্য স্টেশন থেকে ফেরার সময় আর লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতে হতো না। কিন্তু পরে সেই পরিষেবা তুলে দেওয়া হয়। ফলে একই দিনে ট্রেনে যাতায়াত করলে দু’বার লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতে হচ্ছে।
আমলাজোড়া এলাকার বাসিন্দা মৈত্রী সরকার বলেন, কাজের প্রয়োজনে বর্ধমান যেতে হয়। কিন্তু রাজবাঁধ স্টেশন থেকে রিটার্ন টিকিট দেওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলে কাজ শেষ করে আবার বর্ধমানে টিকিট কাটার জন্য লাইন দিতে হয়। অনেক সময় কাউন্টারে এত ভিড় থাকে যে সময়ে ট্রেন ধরা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। নিত্যযাত্রীরা জানান, কম্পিউটারাইজড টিকিট দেওয়া শুরু হওয়ার পর রিটার্ন টিকিট দেওয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু পরে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই ডিভিশনের সমস্ত স্টেশনে এই পরিষেবা চালু হলে বহু মানুষ উপকৃত হবে। আউশগ্রাম-২ ব্লকের সুমন দাস বলেন, বিভিন্ন কাজে কলকাতা যেতে হয়। মানকর স্টেশন থেকে রিটার্ন টিকিট পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে হাওড়ায় ফের টিকিটের লাইনে দাঁড়াতে হয়। এক যাত্রী বলেন, আগে বর্ধমান স্টেশনে নেমেই ফেরার জন্য টিকিট কেটে নিতাম। কাজ সেরে ট্রেনে এসে বসতাম। এখন তা করা যায় না। কারণ টিকিটে উল্লেখ করা থাকে তিন ঘণ্টা বা প্রথম ট্রেনে চাপতে হবে। ফলে তাড়াহুড়ো করে কাজ শেষ করে টিকিট কাটতে হয়। রিটার্ন টিকিট দিলে এই সমস্যা আর থাকবে না।
মানকরের নিত্যযাত্রী গৌরাঙ্গ হালদার বলেন, চালু থাকা পরিষেবা কেন বন্ধ করা হল তা নিয়েও বিস্তারিত জানতে পারিনি। শুনেছিলাম সাব-আরবান বলে ওই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে না।
কলেজ পড়ুয়া মহুয়া ঘোষ বলেন, কাউন্টার ও এটিভিএম মেশিনের পাশাপাশি এখন ইউটিএস অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কাটা যায়। লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু বহু মানুষ স্মার্ট ফোনে স্বাছন্দ্য নন। তাঁদের যাতায়াতের জন্য দু’বার লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতে হয়। রিটার্ন টিকিট দিলে সকলের সুবিধা হবে।