মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুটপাত থেকে দোকান সরিয়ে নেওয়ার জন্যই শহরজুড়েই মাইকে প্রচার চলছে। জবরদখলকারীরা নিজে থেকে দোকান সরিয়ে না নিলে ধাপে ধাপে তা ভাঙা হবে। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, প্রভাবশালীদের একাংশের মদতেই বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ নির্মাণ হয়েছে। বাবুরবাগ, গোলাপবাগ, নবাবহাট সহ বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি বেশকিছু দোকান হয়েছে। প্রভাবশালীদের ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার পর তাঁরা দোকান বসানোর অনুমতি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। এখন সেই দোকান ভাঙার তোড়জোড় চলায় জবরদখলকারীরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। এক দোকানদার বলেন, প্রভাবশালীদের মদত ছাড়া এত অবৈধ নির্মাণ হওয়া সম্ভব ছিল না। গরিব মানুষের সঙ্গে তাঁরা প্রতারণা করেছেন। যাঁরা ১০-১২ বছর ধরে দোকান চালাচ্ছেন, তাঁরা এখন যাবেন কোথায়? পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা প্রশাসনের উচিত ছিল। তা না হলে অনেকেই বিপথগামী হতে বাধ্য হবে। অনেকের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার বলেন, সাধারণ মানুষদের স্বার্থে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, জবরদখলকারী সরানোর ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব করা হবে না। কেউ কেউ নিজেদের লোকজনদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। তা হবে না। প্রশাসনের দাবি, সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই জবরদখল সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জবরদখলকারীদের দৌরাত্ম্যে শহরের বহু রাস্তায় হাঁটাচলা করা দায় হয়ে উঠেছে। সংকীর্ণ রাস্তায় টোটো চালকদেরও দৌরাত্ম্য রয়েছে। অভিযান না চালালে কয়েক বছর পর পুরো শহর অবরুদ্ধ হয়ে যেত।