মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সমিতির অধীনে ৩৫৩টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রায় তিন হাজার মহিলা রয়েছেন। সরকারের বরাদ্দ টাকা সহ সমিতির অধীনে সরকারি প্রকল্পের কাজ করার পর টাকার হিসেব দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী প্রত্যেক মাসে মহিলারা যে ৫০ টাকা করে জমা দেন, তারও হিসেব নেই। বিক্ষোভকারীরা পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় কাজ বন্ধ যায়।
অন্যদিকে, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাস্তা অবরোধের জেরে যান চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ হয় ওই পথে যাতায়াতকারীদের। পুলিসের আশ্বাসে শেষপর্যন্ত অবরোধ উঠলে স্বস্তি ফেরে। অভিযুক্তদের দাবি, চক্রান্ত করে তাঁদের ফাসানো হচ্ছে। সমস্ত হিসেব প্রশাসনকে জানানো রয়েছে। দুর্নীতির কোনও বিষয় নেই।
আন্দোলনকারী জয়ন্তী মাহাত, খুকুমণি মাহাত বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর আমাদের সংঘের সভানেত্রী, সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ কোনও হিসেব দেন না। তাঁরা ধান কেনা, স্কুলের পোশাক তৈরি থেকে একাধিক বিষয়ে সংঘের কোর কমিটির মহিলাদের কিছু জানান না। বিডিওর কাছে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ জানালেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সংঘের আধিকারিকদের পরিবর্তন করা হোক। সেই দাবি নিয়েই এদিন আন্দোলন করা হয়েছে। সমাধান না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।
বালুরঘাটের বিডিও সম্বল ঝা’র কথায়, চিঙ্গিসপুর মহামিলন সংঘ বহুমূখী সমবায় সমিতির মহিলাদের মধ্যে যে ঝামেলা চলছে, তা মেটানোর জন্য বিডিও অফিসে ডাকা হয়েছিল। তাঁদের নিয়ে বৈঠকও করা হয়েছে। তারপরেও এদিন তাঁরা আন্দোলন করেছেন বলে শুনেছি। বিষয়টির উপর আমরা নজর রাখছি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে মহামিলন সংঘ বহমূখী সমবায় সমিতির সভানেত্রী মিনু মহন্তর মন্তব্য, আমাদের সংঘের পুরো অডিট হয়েছে। প্রশাসন সব বিষয় জানে। দুর্নীতির কোনও বিষয় নেই। সংঘে প্রচুর টাকা বরাদ্দ হয়। তা দেখে ওরা ভাবে আমরা টাকা নয়ছয় করেছি। কিন্তু সেরকম কিছু নয়। প্রশাসন পুরো বিষয় তদন্ত করে দেখুক, আমরা দুর্নীতি করেছি কিনা।