মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
ছাত্রকে মারধরের পর পাল্টা হামলায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কলেজ ইউনিটের সহ-সভাপতি সহ অনেকেই আহত হয়েছেন। বাঁশ ও লাঠি দিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে দু’পক্ষের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসেন কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ কুণ্ডু। তিনি ছাত্রদের সরিয়ে দিয়ে টিএমসিপির ইউনিয়ন রুম থেকে সবাইকে বের করে তালা দিয়ে দেন। যদিও বালুরঘাট থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে টিএমসিপির বিরুদ্ধে।
অধ্যক্ষ বলেন, কয়েকজন ছাত্রের মধ্যে বচসা হয়েছিল। তার মধ্যে একজন শুনলাম বাঁশ নিয়ে তেড়ে গিয়েছিল। খবর পেয়েই কলেজের অশিক্ষক কর্মীরা গিয়েছিলেন। আমিও গিয়ে ছাত্রদের থামিয়েছিলাম। যা বুঝলাম, ওদের অন্য কলেজে সিট পড়েছিল। যাতায়াতের পথে বাসে কোনও কারণে ঝামেলা হয়। সেটা নিয়েই এদিন অশান্তি কলেজে। আমি ওদের বুঝিয়ে শান্ত করেছি।
কলেজ সূত্রে খবর, তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার সেন্টার পড়েছিল হিলি কলেজে। সেখান থেকেই ফেরার সময় ট্রেকারে টিএমসিপির কয়েকজন ছেলে ওঠে। সেই ট্রেকারে ছিলেন কলেজের পড়ুয়া শুভ বর্মন। টিএমসিপির ছেলেদের সঙ্গে কোনও কারণে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। অভিযোগ, কলেজে গেলে শুভকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন টিএমসিপির ছেলেরা। গত ২ জুন ওই ঘটনার পর এদিন বৃহস্পতিবার কলেজে প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার খোঁজ নিতে আসেন শুভ। সেই সময় টিএমসিপির ছেলেরা তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। নিজেকে বাঁচাতে পাল্টা শুভও মারধর করে। তার সঙ্গে যোগ দেয় আরও কয়েকজন। সকলেই অল্পবিস্তর আহত হন। কারও কান কেটেছে, কয়েকজনের ঠোঁট ফেটেছে মারামারিতে। একজনের মাথায় আঘাত লাগে। সংঘর্ষে জড়ানো টিএমসিপি কলেজ ইউনিটের সহ-সভাপতি গৌরব কুমার পাল বলেন, হিলি থেকে পরীক্ষা দিয়ে ফেরার সময় গাড়ির মধ্যে ওই ছাত্র অন্য ছাত্রীদের কটুক্তি করছিল। সেদিন আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। তাই আজকে ওই ছাত্র দলবল নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাকে এবং বেশকিছু ছাত্রকে মারধর করেছে।
শুভর দাবি, ওই দিন ফেরার সময় ট্রেকারে কোনও মেয়ে ছিল না। আমি কাউকেই কটুক্তি করিনি। ওরাই চিৎকার করতে করতে বার বার আমার গায়ের উপর এসে পড়ছিল। সেদিন প্রতিবাদ করায় আজ আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বাঁশ, লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করে। যদিও এদিনের সংঘর্ষে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ যুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন সংগঠনের বালুরঘাট শহর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সুরজ সাহা। তাঁর মন্তব্য, ক্লাসের বন্ধুদের সামান্য কারণে বিবাদ থেকে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। সকলে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করলেও করতে পারে। কিন্তু গোলমালের সঙ্গে সংগঠনের কোনও সম্পর্ক নেই।