মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিখিলচন্দ্র রায় রেজিস্ট্রার আব্দুল কাদের সাফেলিকে সাসপেন্ড করেন। রেজিস্টার আদালতের দ্বারস্থ হন। ফলে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছে। এর মধ্যেই গত মঙ্গলবার সাসপেন্ডেড রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। এরপর উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার আগে তাঁর অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনরত ছাত্ররা। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেদিন শেষ পর্যন্ত উপাচার্য ফিরে যান। পরে উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও এক অধ্যাপক কোতোয়ালি থানায় বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির জেলা সভাপতি জ্যোর্তিময় ভৌমিক বলেন, আমাদের দাবি এখনও মেটেনি। সেই কারণে এদিনও কর্মবিরতি ও অবস্থান চলছে। এদিন পুলিস আমাদের কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে কথা বলেছে। তবে এনিয়ে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করল পঞ্চানন বর্মা মেমোরিয়াল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট। বৃহস্পতিবার মাথাভাঙা শহরের পঞ্চানন বর্মা ভবনে ট্রাস্টের সম্পাদক তথা তৃণমূলের কোচবিহার জেলা চেয়ারম্যান গিরিন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের দ্বন্দ্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। আমরা এনিয়ে উদ্বিগ্ন। দীর্ঘ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আমরা আন্দোলন করেছি। রাজনীতি ভুলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁচাতে চাইছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই প্রশাসনিক আধিকারিককে আমরা প্রস্তাব দেব বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য। তাঁরা যদি সেটা না মানেন তাহলে আমরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করব। আমাদের আন্দোলনের ফসল এভাবে নষ্ট হতে দেব না। এদিন, মাথাভাঙায় গিরিন্দ্রনাথবাবুর সঙ্গে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক আনন্দ গোপাল ঘোষ সহ ট্রাস্টের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন ট্রাস্টের তরফে দ্রুত দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের পরিকাঠামো গড়ে তোলারও দাবিও জানানো হয়।