শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ডালখোলা কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্র এক পরীক্ষার্থী স্মার্টফোনের এসএমএস দেখে উত্তর লিখছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে হাতেনাতে ধরে পুলিসের হাতে তুলে দেয়। কলেজ কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস ওই পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে। এদিকে পরীক্ষা কেন্দ্রে স্মার্টফোন ব্যবহারের কারণে ইসলামপুরের মিলনপল্লি হাই স্কুল থেকে একজন ও ভুজাগাঁও হাই স্কুল থেকে একজন পরীক্ষার্থীকে পুলিস আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে তারা স্মার্টফোন ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র বাইরে পাঠিয়েছে। এদিকে পরীক্ষা কেন্দ্রে স্মার্টফোন ব্যবহারের কারণে চোপড়ার দাসপাড়া হাই স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষককেও পুলিস আটক করেছে। অভিযোগ, ওই শিক্ষকের স্মার্টফোনে এক পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে ছিল।
ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিস সুপার কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল বলেন, এদিন চাকরির পরীক্ষায় পরীক্ষা কেন্দ্রে স্মার্টফোন ব্যবহার করার জন্য অভিযোগের ভিত্তিতে ডালখোলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইসলামপুরে আটকদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ এলে গ্রেপ্তার করা হবে। উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা বলেন, পুরো বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে দেখছি।
ডালখোলা কলেজের অধ্যক্ষ জয়িতা বসু বলেন, গ্রেপ্তরের বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। এটা কলেজের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। কলেজে ৮০০ জন পরীক্ষার্থীর সিট ছিল। কিন্তু অনেকেই আসেননি। মিলনপল্লি হাই স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তপন ভৌমিক বলেন, স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য একজনকে পুলিস নিয়ে গিয়েছে। সেসময় আমি স্কুলের বাইরে ছিলাম। এখনও পুলিসে অভিযোগ করা হয়নি। স্কুলে ৮২৮ জনের সিট ছিল। কিন্তু উপস্থিত ছিলেন ৩৪৫ জন। ইসলামপুরের ক্ষুদিরামপল্লি সুকান্ত স্মৃতি বিদ্যাপীঠ সূত্রে জানা গিয়েছে সেখানে ৭০০ জন পরীক্ষার্থীর সিট ছিল। ১৬৭ জন পরীক্ষা দিয়েছেন।
প্রশাসন জানিয়েছে, এদিন জেলায় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরে কর্মী নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা ছিল। নির্মাণ সহায়ক, এক্সজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট, গ্রাম পঞ্চায়েতের সেক্রেটারি, ব্লক ইনফেরমেশন অফিসার সহ নয়টি পোস্টের ১৯৩টি শূন্য পদে ওই পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার জন্য এক লক্ষ ছয় হাজার আবেদন জমা পরেছিল। কিন্তু এদিন বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে পাওয়া তথ্য বলছে প্রায় অর্ধেক আবেদনকারীই পরীক্ষায় বসেননি। অভিযোগ উঠেছে, অনেক আবেদনকারী সঠিক সময়ে পরীক্ষার দিনক্ষণ সম্পর্কে জানাতে পারেননি। এদিকে এদিন পরীক্ষাকেন্দ্রে স্মার্টফোন নিয়ে ধরা পড়ায় কার্যত প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। স্মর্টফোনের মাধ্যমে প্রশ্ন বাইরে ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এমনটি হয়েছে। এই পরীক্ষা বাতিল করে আবার পরীক্ষা নেওয়ার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।