শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
শাসক দল মনে করছে আলিপুরদুয়ার পুরসভার পরবর্তী ভোটে বিরোধীরা শহরের বর্জ্য ফেলার জন্য ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি না হওয়ার ইস্যুকে প্রধান অস্ত্র করতে পারে। বিরোধীদের সেই অস্ত্রের মোকাবিলা করার কৌশলও ঠিক করে ফেলেছে শাসক দল। তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার টাউন ব্লক সভাপতি বিদায়ী পুর বোর্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমাদের ধারণা লোকসভা ভোটের দু’আড়াই মাসের মধ্যেই আলিপুরদুয়ার পুরসভার পরবর্তী পুর ভোট হতে পারে। সেজন্য লোকসভা ভোটের প্রস্তুতির সঙ্গেই পুর ভোটের বুথভিত্তিক প্রাথমিক প্রস্তুতির কাজও আমরা শুরু করে দিয়েছি। শাসক দলের বিদায়ী পুর বোর্ডের চেয়ারম্যান আশিস দত্ত বলেন, ১৯৫৭ সালে আলিপুরদুয়ার পুরসভা জন্মের পর ৫৮ বছর বোর্ডের ক্ষমতায় ছিল হয় বাম নয় কংগ্রেস। কিন্তু আমাদের বোর্ড শেষ চার বছরে যা কাজ করেছে বিরোধীরা ৫৮ বছরেও তা করতে পারেনি। মানুষের কাছে সেটাই তুলে ধরা হবে।
২০১৩ সালে আলিপুরদুয়ার পুরসভার ভোট হয়। ভোটে পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে বামেরা আটটি এবং কংগ্রেস ও তৃণমূল উভয়ই ছ’টি করে ওয়ার্ড পায়। বাম বোর্ড এক বছর চলার পর ২০১৪ সালে কংগ্রেসের ছয় কাউন্সিলারকে দলে টেনে তৃণমূল আলিপুরদুয়ার পুর বোর্ডের দখল নেয়। পরে বামেদেরও কয়েকজন কাউন্সিলার তৃণমূলে যোগ দেন। গত বছরের ২১ অক্টোবর তৃণমূল বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু সময়ে ভোট না হওয়ার জন্য রাজ্য সরকার আলিপুরদুয়ার পুরসভার প্রশাসক হিসাবে ২২ অক্টোবর থেকে মহকুমা শাসককে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
২০১৩ সালের পুর ভোটে আলিপুরদুয়ার পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডে ভোটারের সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজারের মতো। শাসক দলের মতে, এবার নতুন ভোটার কমপক্ষে আরও ছয় থেকে সাত হাজার বাড়বে। তৃণমূলের অন্দরের খবর, লোকসভা ভোটের প্রচারে পুর ভোটের কথা মাথায় রেখে পুর এলাকার নতুন ভোটারদের দলে টানার কাজ চলছে। আর তরুণ ভোটারদের দলে টানার কাজে শাসক দল কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, রূপশ্রী ও যুবশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার কথা ঢালাও করে প্রচারে তুলে ধরছে। শাসক দলের পুর বোর্ডের চার বছরের আমলে সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসাবে দেখা হচ্ছে পুর এলাকায় বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল প্রকল্পকে। ১০২ কোটি টাকার এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এছাড়া, প্রচারে হাউস ফর অল প্রকল্পে পুর এলাকার গরিব মানুষদের ঘর বিতরণ, পুর এলাকায় ঝাঁ চকচকে রাস্তাঘাট, দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী বাসিন্দাদের ঘরে ঘরে শৌচাগার নির্মাণ এবং শহরের সর্বত্র এলইডি বাতি ও পথবাতির কথাও ফলাও করে বাসিন্দাদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে।