মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
বুধবার ছিল মহালয়া। সূচনা হয়েছে দেবীপক্ষের। এদিন কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণের একাধিক দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। হাতিবাগান সর্বজনীন, যোধপুর পার্ক, ৯৫ পল্লি, বাবুবাগান, সেলিমপুর পল্লি, চেতলা অগ্রণী ক্লাবের দুর্গাপুজোর উদ্বোধন হয় মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে। চেতলা অগ্রণী ক্লাবে দুর্গা প্রতিমায় চোখ আঁকেন তিনি। এছাড়াও রাজ্যের জেলাগুলি মিলিয়ে ৩২০টি পুজোর ভার্চুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে নজরুল মঞ্চে দলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র উৎসব সংখ্যা প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতার কথা ও সুরে গানের অ্যালবাম ‘অঞ্জলি’ প্রকাশিত হয়েছে। পুজো-উৎসবের এই আবহে দেখা গিয়েছে, কিছু মানুষ প্রতিদিনই নানা ধরনের কর্মসূচি করছে। এমনকী উৎসব বন্ধ করার দাবি তুলেছেন কেউ কেউ। এই প্রেক্ষাপটেই পাল্টা জবাব দিয়েছেন মমতা। নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, পুজো-উৎসব কেন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে! তাঁরা জেনে রাখুন, আমাদের ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। আমরা সমস্ত ধর্মকেই মানি। সব ধর্মের মানুষের মধ্যে সমন্বয় রয়েছে বাংলায়। সবাইকেই নিয়ে চলি আমরা। আর আমাদের এই প্রাণের উৎসবের সঙ্গে বহু মানুষের কর্মসংস্থান, উপার্জন জড়িয়ে আছে।
তবে পুজো-উৎসবের এইসময়ে আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিরোধীরা রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আরও অভিযোগ, বাংলার সম্পর্কে ভুল বার্তা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে কেউ
কেউ। মমতা বলেছেন, বাংলা নিয়ে সারা বিশ্বে বদনাম করার চেষ্টা চলছে। যাঁরা এটা করছেন, একদিন তাঁরা বুঝতে পারবেন, তাঁরা যে অন্যায় করছেন, তাঁর ক্ষমা হয় না। বাংলা মাকে অসম্মান করে জীবনে বড় হওয়া যায় না।
দলের মুখপত্রের উৎসব সংখ্যায় মমতার লেখাতেও উঠে এসেছে আর জি কর প্রসঙ্গ। তিনি লিখেছেন, আর জি কর হাসপাতালের মর্মান্তিক ঘটনায় আমার হৃদয় জ্বলে ছারখার হয়ে গিয়েছে। মনে হচ্ছিল আমার পরিবারের কেউ যেন চলে গিয়েছে। কোনও মানুষই এটা মেনে নিতে পারবে না। আমার বাড়িতেও মেয়ে আছে, আমিও একজন অভিভাবিকা, আমি বুঝি—যন্ত্রণা কোথায় বিদ্ধ করে, শাস্তির দাবিতে কেন উদ্যত হয় মানুষ।
ধর্ষণ বিরোধী ‘অপরাজিতা বিল’ বিধানসভায় পাস করিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কেন তা করা হয়েছে, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দলের মুখপত্রের উৎসব সংখ্যায় লিখেছেন মমতা। তিনি লিখেছেন, বাংলার অপরাজিতাদের আমরা অপরাজিতাই রাখব। আমি চেয়েছিলাম, কেন্দ্রীয় সরকারই এই আইন তৈরি করবে, যাতে সারা দেশের মেয়েরা তার সুফল পায়। প্রধানমন্ত্রীকে দু’বার চিঠি দিলাম। প্রধানমন্ত্রী উত্তর দেওয়ারই প্রয়োজন বোধ করেননি! ফোনেও চেষ্টা করলাম তাঁকে। কিন্তু তিনি বোধহয় ফোন ধরারও সময় পাননি। প্রত্যুত্তরেও ফোন করেননি মোদিজি। বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে নারীনির্যাতনের ঘটনার সালতামামি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বাংলায় সিপিএম আমলে কোচবিহার থেকে নন্দীগ্রাম পর্যন্ত নারীনির্যাতনের ঘটনাও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।