মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে খবর, ভোলেবাবার আসল নাম সুরজপাল সিং জাটব। হাতরাসের বাহাদুরপুরের বাসিন্দা। পুলিস কনস্টেবল হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। কর্মরত অবস্থায় এক মহিলাকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে সাসপেন্ড হয়েছিলেন তিনি। সেই অপরাধে চাকরি থেকে বরখাস্ত হন। এমনকী জেলেও যেতে হয়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আদালত মুক্তি দেয় তাঁকে। ফের চাকরিতে যোগদানের আর্জি জানিয়ে সুরজপাল কোর্টের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২০০২ সালে স্বেচ্ছাবসর নিয়ে নেন। তার আগে এক মৃত কিশোরীকে পুনর্জীবন দিতে দাহকার্যে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সুরজপালের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিস। চাকরি ছেড়ে স্বঘোষিত ধর্মগুরু হিসেবে নিজের পসার বাড়াতে শুরু করেন তিনি। মইনপুরীতে প্রাসাদোপম এক আশ্রমও নির্মাণ করেন। সেখানে এক বিরাট মহিলা বাহিনী পরিবৃত হয়েই বাস করেন তিনি। ইতিমধ্যে একাধিক যৌন কেচ্ছা-কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে ভোলেবাবার। মহিলাদের যৌন হেনস্তার অভিযোগে এটাওয়া, আগ্রা, কাশগঞ্জ, ফারুকাবাদ ও রাজস্থানে তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও ঝুলে রয়েছে।
আশ্রমের এক প্রান্তে ভোলেবাবার ঘর। সেখানে মাত্র সাতজনের প্রবেশাধিকার। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন মহিলাও রয়েছে। আশ্রমে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে তিনটি বাহিনী— নারায়ণী সেনা, গরুড় যোদ্ধা এবং হরি বাহক। তাদের তাড়া খেয়েই মঙ্গলবার পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি যোগী প্রশাসনের। প্রশাসনিক ব্যর্থতা উড়িয়ে আয়োজকদের বিরুদ্ধেই তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলেছে পুলিস। সৎসঙ্গের অন্যতম আয়োজক দেবপ্রকাশ মধুকর সহ অন্যান্য সেবাদারদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকেই খোঁজ মিলছে না ভোলেবাবার। তবে এদিন সন্ধ্যায় তিনি একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। তাতে দাবি করা হয়, ‘আমি সৎসঙ্গ ছেড়ে চলে যাওয়ার অনেক পরে কিছু সমাজবিরোধীর জন্যই এই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে।’ এদিন সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে কথাও বলেন। গোটা ঘটনায় হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।