দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
গতকালই প্রকাশিত হয়েছে সরকারি পরিসংখ্যান। যেখানে দেখা যাচ্ছে আর্থিক বৃদ্ধির হার আরও কমে সাড়ে ৪ শতাংশ হয়েছে। কোর সেক্টরের আটটি ক্ষেত্রের মধ্যে ৬টি সেক্টরের আউটপুটই নিম্নগামী। শিল্পপতিদের খুশি করতে, লগ্নির আশায় মোদি সরকার বিগত কয়েকমাসে রীতিমতো কল্পতরু হয়ে করছাড় দিয়েছে কর্পোরেটকে। তা সত্ত্বেও আর্থিক হাল আরও সঙ্কটজনক হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী একের পরে এক ট্যুইট করে সরকারের বিজয়গাথাই শুধু বর্ণনা করেছেন। তাঁর কথায় কোনও উদ্বেগের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বস্তুত সরকারের আর্থিক দাওয়াই ও একঝাঁক সিদ্ধান্তের পক্ষে দাঁড়িয়েই তিনি আজ সাফল্য দাবি করেন। দেশের অর্থনীতি যে গভীর সঙ্কটে এবং কীভাবে সরকার সেই সুড়ঙ্গ থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজবে, তার কোনও দিশা অথবা উল্লেখই নেই মোদির ভাষ্যে।
কংগ্রেস ও বিরোধীদের দুরমুশ করে লোকসভায় আরও বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে এসে সরকার গড়ার পর বিগত ৬ মাসে অবশ্যই মোদি সরকার ঝড়ের গতিতে এমন সব সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে, যা বিগত ৭২ বছরে হয়নি। রাতারাতি ৩৭০ ধারা বিলোপ করে কাশ্মীরকে দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। বেআইনি করা হয়েছে তাৎক্ষণিক তিন তালাককে। সিংহভাগ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। শত সমালোচনার পর আজও প্রধানমন্ত্রী ওই সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, কৃষকদের বছরে ৬ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করে তাদের জীবনের গতি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মোদির ট্যুইটে অর্থনীতি থেকে বিদেশনীতি এবং গ্রাম থেকে শহরের উন্নত জীবন ও ক্ষমতায়ন, প্রথম ৬ মাস যেন আচ্ছে দিনেরই বিজ্ঞাপন।