মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
তৃতীয় শ্রেণির সুহানি বন্ধুদের কাছে গল্প করছে, ‘প্রোটেস্ট র্যালি’ ব্যাপারটা তার একেবারেই না-পসন্দ। কী কারণ? শিক্ষিকারা তাঁকে প্রশ্ন করায় সে জানায়, আগের দিনই তার বাবা অনেক দেরিতে বাড়ি ফিরেছেন। এসে বলেছেন, প্রোটেস্ট র্যালির জন্য রাস্তা বন্ধ ছিল। তাই এই দেরি। বাবার দেরি হচ্ছে যে জিনিসটির জন্য সেটি কীভাবে ভালো লাগতে পারে সুহানির? তবে প্রোটেস্ট র্যালি আসলে কী, তা বুঝতে চেয়ে মা ও বাবাকে প্রশ্নে জর্জরিত করে ফেলছে বাচ্চাটি।
আর জি কর কাণ্ড যে শিশুমনে বিভিন্ন ভাবে প্রভাব ফেলছে, তা বুঝতে পারছিলেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। একই আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে অভিভাবকদের মধ্যেও। একটি নামী বয়েজ স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণির পরীক্ষার প্রশ্নে সম্প্রতি ব্যবহার হয়েছে ‘রেপ’ এবং ‘মার্ডার’-এর মতো শব্দ। তারপর পড়ুয়ারা বাড়িতে গিয়ে রেপের অর্থ জিজ্ঞেস করছে। কেউ কেউ মা-বাবার ফোন থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ঘাঁটে। সেখানেও নানা মন্তব্য। তা দেখেও ভারাক্রান্ত হচ্ছে শিশুমন। অশোক হল হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, মহাদেবী বিড়লা শিশুবিহারের মতো স্কুল তাই পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্য ফেরাতে বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করেছে। অশোক হলের প্রধান শিক্ষিকা আত্রেয়ী সেনগুপ্ত বলেন, ‘শিশুরা যে শব্দগুলি শুনছে সেগুলির সঠিক মানে না বুঝতে পারলেও নিজেদের মতো করে একটা অর্থ বের করে ফেলছে।’ একই মত মহাদেবী বিড়লা স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সোনালি সরকারেরও। তিনি যোগ করেন, জটিল বিষয়গুলি বোঝানোর সময় বয়সভিত্তিক ভাষা ও শব্দচয়ন খুব জরুরি। সাইবার বুলিং, ট্রোলিং, মাত্রাতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম থেকে সরে আসার পদ্ধতিও শিশুদের শেখানো হয়েছে।