মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
সূত্রের খবর, বর্ষার আগেই, ১৯ জুলাই ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক মেরামতির জন্য কেন্দ্রের কাছে ২৭ কোটি টাকার ন্যায্য প্রাপ্যের দাবি জানায় নবান্ন। রাজ্যের সেই চিঠির ভিত্তিতে এই গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সড়কের স্পেশাল রিপেয়ার বা বিশেষ মেরামতি খাতে মাত্র ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করে কেন্দ্র। গত ১২ আগস্ট রাজ্যকে এই সংক্রান্ত চিঠি পাঠায় তারা। দুই রাজ্যের সংযোগকারী এই সড়কের ১৩টি জায়গায় মেরামতির জন্য এই টাকা বরাদ্দ করা হল বলেও জানানো হয় ওই চিঠিতে।
তবে রাজ্যের বক্তব্য, শুধু ১৩টি জায়গায় কাজ করলে এত বড় সমস্যার সমাধান হবে না। আরও ১০টির মতো জায়গায় মাঝেমধ্যেই ধসের ঘটনা ঘটে। সেই সমস্ত স্থানে কাজ না-করলে ধসের সমস্যা থেকে পাহাড়ের মানুষকে রেহাই দেওয়া অসম্ভব। ফলে বাকি ১৩ কোটি টাকাও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে বড় কথা হল, দেশের নিরাপত্তার নিরিখেও এই রাস্তা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সিকিম পৌঁছতে ভারতীয় সেনাবাহিনী এই রাস্তাই ব্যবহার করে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রবিবার তা জানিয়েছেন। তিনি বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে রওনা দেওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী বন্যা নিয়েও কেন্দ্রের বঞ্চনার রাজনীতির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বড় অংশের দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে রাজ্য পূর্তদপ্তরের জাতীয় সড়ক শাখা। এক পদস্থ কর্তা জানান, ধসের কারণে এর আগেই ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে টানা একমাস যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাই একেবারে মালবাহীসহ সমস্ত গাড়িকে ঘুরপথে বিকল্প রাস্তা ধরে পাহাড়ে উঠতে হয়। ফলে অনেক গাড়ি যেতেও চায় না সেদিকে। এই কারণেই রোজ প্রায় ১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ ধাক্কা খায়। এবারের বৃষ্টিতেও এই জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। কেন্দ্র টাকা না দিলেও যান চলাচল স্বাভাবিক করে তুলতে মেরামতির কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে রাজ্য পূর্তদপ্তরের জাতীয় সড়ক শাখাকে। রাজ্যের এক আধিকারিক জানান, দিল্লি টাকা দিক বা না দিক, মানুষের কথা ভেবে পাহাড়ের রাস্তা আমাদের মেরামত করে দিতেই হবে। তারপর যা হবে তা দেখা যাবে।