মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
জেল হেফাজত শেষে সোমবার আদালতে হাজির করানোর কথা ছিল টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিত মণ্ডল ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। নিরাপত্তার কারণে দুজনকে আদালতে আনা হয়নি। জেল থেকে তাঁরা ভার্চুয়ালি হাজির হন। সওয়াল জবাবের শুরুতেই সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও দুজনের মোবাইলের ফরেন্সিক রিপোর্ট এসে গিয়েছে। দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তিনদিনের হেফাজত চায় তারা। এরপর বিচারক রিমান্ড লেটারের চার নম্বর পয়েন্ট তুলে ধরে বলেন, আপনারা বলছেন ফোন ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজের ফরেন্সিক রিপোর্ট এসে গিয়েছে। তার ভিত্তিতে হেফাজতে নিয়ে জেরা করার কী প্রয়োজন রয়েছে? এটা জেলে গিয়েও করা যেতে পারে। সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, ভিডিও ফুটেজ সামনে রেখে দুই অভিযুক্তকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চাইছেন তাঁরা। আদালত জানতে চায়, দুজনের স্টেটমেন্টের কপি কোথায় (১৬১ ধারায় নথিভুক্ত)? সিবিআইয়ের আইনজীবীরা কেস ডায়েরির পাতা উল্টে স্টেটমেন্ট খুঁজতে শুরু করেন। এরপর বিচারক বলেন, ওই দুজন সহযোগিতা করছেন না, পিটিশনে কোথাও বলা হয়নি। জেলে গিয়ে তো জেরা করতে পারেন। সেখানে যদি অসহযোগিতা করেন, তাহলে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করতে পারেন। আদালত আবেদন পরিবর্তন করার পরামর্শ দেয়। সিবিআই জানায়, তারা রিমান্ড লেটার প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।
এরপরই আর একপ্রস্থ বিপাকে পড়ে সিবিআই। নতুন পিটিশন জমা দেয় তারা। তার কপি যায় অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীদের কাছে। অভিজিত মণ্ডলের আইনজীবী আদালতে বলেন সিবিআই জেলে গিয়ে জেরার আবেদন করেছে। কিন্তু ঠিক কী চাইছেন, তা স্পষ্ট নয়। জেল হেফাজতের আবেদন না করেই জেলে গিয়ে জেরা করতে চাইছেন। কতবার সংশোধন হবে আবেদন! সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, জেলে গিয়ে জেরার করার সঙ্গেই জেল হেফাজতের আবেদন জড়িয়ে রয়েছে। আর সোমবার পর্যন্ত তিনি জেল হেফাজতে আছেন। তাই আলাদাভাবে বলা হয়নি। এরপর আদালত সিবিআইকে নির্দেশ দেয়, ফের আবেদন পরিবর্তন করে আনতে। তৃতীয়বার সংশোধন করে নিয়ে এসে এজেন্সি ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন করে। আদালত দুজনকেই ৪ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। জেলে গিয়ে জেরার আবেদনও মঞ্জুর হয়েছে।