মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
বুধবার দুপুর পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভিন রাজ্য থেকে ৮১ হাজার ১০টি আবেদন জমা পড়েছে পোর্টালে। সেখানে বাংলা ছাড়াও ২৬টি রাজ্য থেকে ছাত্রছাত্রীরা আবেদন করেছেন। সবচেয়ে বেশি আবেদন এসেছে বিহার (৩১ হাজার ৭৪৫টি, পড়ুয়া ৫ হাজার ৭৭২ জন) এবং ঝাড়খণ্ড (২৮ হাজার ৭২১টি, পড়ুয়া ৫ হাজার ২২২ জন) থেকে। এর পরেই রয়েছে অসম এবং উত্তরপ্রদেশ। ওই দু’টি রাজ্য থেকে দু’হাজারেরও বেশি পড়ুয়া আবেদন জানিয়েছেন। ভিনরাজ্য থেকে আবেদন করা পড়ুয়ার সংখ্যা মোট ১৫ হাজার ৮২০ জন।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে আবেদনকারীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৬০ হাজার ৯৮৮ জন। ৭ জুলাই পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে। প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে স্নাতকের আসন রয়েছে সাড়ে ৯ লক্ষ। এ রাজ্যে অত সংখ্যক ছাত্রছাত্রীই নেই। তাই ভিন রাজ্য থেকে পড়ুয়ারা এলে সেই আসন পূরণ করা সম্ভব হবে। এতে একদিকে যেমন কলেজগুলির লোকবল এবং পরিকাঠামোর সদ্ব্যবহার হবে, তেমনই বিভিন্ন র্যাঙ্কিং এবং গ্রেডেশনের ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে ভিনরাজ্যের পড়ুয়াদের উপস্থিতি।
যদিও এই পরিস্থিতিতে অন্য একটি ব্যাখ্যা উঠে আসছে। যেখানে বছরের পর বছর বিভিন্ন কলেজের অর্ধেক আসনও পূরণ হয় না, সেখানে স্নাতকস্তরের আসন এত বাড়িয়ে রাখা হয়েছে কেন? জানা যাচ্ছে, নতুন কলেজের পাশাপাশি, পুরনো কলেজের বেশ কিছু ব্যবস্থাও এর জন্য দায়ী। কিছু বিষয়ে একদমই ছাত্রছাত্রী হয় না। তাই সেগুলি চালু রেখেই এমন নতুন বিষয় চালু করা হচ্ছে, যেগুলির চাহিদা রয়েছে। এর ফলে লোকবল এবং পরিকাঠামো বাড়তি হয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে একটি ভারসাম্য আনা প্রয়োজন বলে মনে করছে শিক্ষক মহল। তাদের বক্তব্য, এর পাশাপাশি, আরও বেশি ভিনরাজ্যের পড়ুয়াদের আকৃষ্ট করতে হবে, যাতে তাঁরা এ রাজ্যের কলেজে ভর্তি হন।