মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
এখন চলছে মূল মন্দিরের চূড়ার উপর পাথর লাগানোর কাজ। দীঘা স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে নামলেই চোখে পড়বে সুবিশাল মন্দিরটি। দু’টি ক্রেনের সাহায্যে ৬৫ মিটার উচ্চতায় তোলা হচ্ছে বিশেষ কারুকাজ করা পাথর। মন্দিরের বিশালাকার প্রবেশদ্বার নির্মাণের কাজও শেষের পথে। কর্মীরা এখন প্রবেশদ্বারকে সৃদৃশ্য করে তুলতে নানা শৈল্পিক কারুকাজ করছেন। সেই সঙ্গে চত্বরের একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে দোতলা ভবন তৈরির কাজও শেষ পর্যায়ে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানেই গড়ে তোলা হবে বিশ্ব সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র, অফিসঘর সহ অন্যান্য পরিকাঠামো।
বর্তমানে মন্দিরের কাজ করছেন কয়েকশো কর্মী। তাঁদের ঢোকা বেরোনোর জন্য একটি অস্থায়ী গেট তৈরি করা হয়েছে। সেখানকার এক সুরক্ষা কর্মী বলেন, ‘প্রতিদিন শ’য়ে শ’য়ে পর্যটক মন্দিরে প্রবেশের আর্জি নিয়ে আমাদের কাছে আসছেন। এখন তো কাজ চলছে। তাই আমাদের স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, কাউকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। এত মানুষকে ফিরিয়ে দিতে খারাপ লাগলেও আমাদের তো হাত-পা বাঁধা। তাঁর আরও সংযোজন, ‘মন্দির চালু হয়ে গেলে কীরকম ভিড় হবে, তা এখন থেকেই বোঝা যাচ্ছে।’
রবিবার গেটে নিযুক্ত সিকিউরিটি গার্ডের সঙ্গে কথা বলছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির যুবক সুবিমল পাল। মন্দির তো চালুই হয়নি, তাহলে এখানে এলেন কেন? সুবিমল বললেন, ‘শুনেছি, রাজস্থান থেকে ঠাকুর এসে গিয়েছে। একবার যদি দেখা যায়...। ঢুকতে না পেরে মনটা খারাপ হয়ে গেল। মন্দির খুললে আসতে হবে।’ প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দিরের কাজের অগ্রগতি নিয়ে নিয়মিত খোঁজ রাখছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তদারকির দায়িত্বে থাকা হিডকোর আধিকারিক এবং জেলা প্রশাসন দ্রুত কাজ শেষ করতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু ঝুঁকি নিয়ে তাড়াহুড়ো করে কাজ শেষ করতে চাইছে না প্রশাসন। আগামী চার মাসে বাকি কাজ শেষ করে দুর্গা ও কালীপুজোর মাঝামাঝি সময় মুখ্যমন্ত্রী মন্দিরের উদ্বোধন করতে পারেন বলে খবর।