মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
দেশের বিস্তীর্ণ অংশের সঙ্গে গোটা রাজ্যে আপাতত মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকবে। উত্তরবঙ্গে বিশেষ করে হিমালয় সংলগ্ন এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা আপাতত শনিবার পর্যন্ত থাকছে। দক্ষিণবঙ্গে সাধারণভাবে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, দুই ২৪ পরগনা, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া ও বীরভূমের কোনও কোনও স্থানে শুক্রবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সোমবার সারাদিন ধরে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় হাল্কা ঝিরঝিরে বৃষ্টি চলে। কলকাতায় এই পরিস্থিতি আরও দিনকয়েক চলবে বলে জানান আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস।
একাধিক ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপ অক্ষরেখার জন্য রাজ্যে বৃষ্টির মাত্রা বেড়েছে। পূর্ব বিহার ও সংলগ্ন এলাকা এবং পূর্ব ঝাড়খণ্ডের উপর দুটি পৃথক ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম বিহার থেকে দক্ষিণ অসম পর্যন্ত বিস্তৃত নিম্নচাপ অক্ষরেখাটি উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে। এগুলির জন্য উত্তরবঙ্গে খুব বেশি মাত্রায় বৃষ্টি হচ্ছে। একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে উত্তর বাংলাদেশের উপর। সেটির প্রভাবে এবং কিছুটা নিম্নচাপ অক্ষরেখাটির জন্য দক্ষিণবঙ্গেও বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে। সব মিলিয়ে মৌসুমি বায়ু গোটা রাজ্যে সক্রিয় অবস্থায় আছে।
এবার জুন মাসে বেশিরভাগ জায়গায় বৃষ্টির ঘাটতি ছিল। ১১-২৭ জুন পর্যন্ত, দেশে গড় বৃষ্টির পরিমাণ ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে কম। ২০০১ সাল থেকে কম বৃষ্টিপাতের নিরিখে এবারের জুন ছিল সপ্তম স্থানে। আগামী চার-পাঁচদিন উত্তর-পশ্চিম, উত্তর-পূর্ব এবং পূর্ব ভারতে বর্ষা সক্রিয় থাকবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর।