মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই ইলিশ মরশুমের শুরুতে ট্রলার ব্যবসায়ীরা মৎস্যজীবীদের অগ্রিম কিছু টাকা দিয়ে দেন। এই টাকার লেনদেনকে স্থানীয় ভাষায় দাদন বলা হয়। মূলত এই দাদনের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে কোন মৎস্যজীবী কোন ট্রলারে যাবেন, তা নির্ধারিত হয়ে যায়। এরপর প্রতিবারই মৎস্যজীবীরা সমুদ্র থেকে মাছ ধরে ফিরলেই তাঁদের প্রত্যেককেই কিছু টাকা দেওয়া হয়। এভাবেই মৎস্যজীবীরা ইলিশের মরশুমে রোজগার করেন। দুর্গা পুজার সময় আবারও ট্রলার ব্যবসায়ীরা অগ্রিম বাবদ মৎস্যজীবীদের কিছু টাকা দেন। কিন্তু এবছর সমুদ্রে সেভাবে ইলিশ মাছ না হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন ট্রলার ব্যবসায়ীরা।
এবিষয়ে এক ট্রলার ব্যবসায়ী নির্মল দাস বলেন, আষাঢ় মাসের এক তারিখে সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য ট্রলারগুলি পাড়ি দেয়। চৈত্র মাসের ৩০ তারিখে সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ হয়। কিন্তু এ বছর বর্ষার মরশুমে সেভাবে ইলিশ মাছ হয়নি। ট্রলার ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এদিকে দুর্গাপুজোর সময় মৎস্যজীবীদের বোনাস বাবদ অগ্রিম টাকা দিতে হয়। বহু ট্রলার ব্যবসায়ী এবছর এই অগ্রিম টাকা দিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এই টাকা দিতে না পারলে মৎস্যজীবীরা ট্রলারে যাওয়া বন্ধ করে দেন। তখনই ট্রলারগুলি বন্ধ হয়ে যায়। সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, এবছর সমুদ্রে মাছ ছিল। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ বিভিন্ন কারণে মৎস্যজীবীরা মরশুমের বেশ কিছুদিন সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারেননি। তাই ক্ষতির মুখে ট্রলার ব্যবসায়ীরা। তাই পুজোর আগে এই মরশুমে বহু ট্রলার সমুদ্রে নামা বন্ধ করে দিতে পারে।