মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
কত সংখ্যক ভারতীয় এই আকাশছোঁয়া মূল্যে ধাক্কা খেয়েছেন? ট্রাইয়ের (টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া) সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, গোটা দেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১৯ কোটি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক মুকেশ আম্বানির কোম্পানি রিলায়েন্স জিও’র—৪৭ কোটিরও বেশি। তারপরই ভারতী এয়ারটেল—৩৯ কোটি। ভোডাফোনের গ্রাহক ২২ কোটি ৩৭ লক্ষ। এই তিন কোম্পানির দখলেই বাজারের ৯১.১৩ শতাংশ। সরকারি সংস্থা বিএসএনএল এবং এমটিএনএল, দু’টি মিলিয়ে মোট গ্রাহক সংখ্যা ১০ কোটি ২২ লক্ষ, মোট মোবাইল পরিষেবা ব্যবহারকারীর মাত্র ৮.৫৯ শতাংশ। অর্থাৎ, প্রায় ১০৯ কোটি মানুষকে জুলাই থেকে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, গোটা বিষয়টা বেসরকারি সংস্থাগুলিকে বাজার দখলের সুযোগ করে দেওয়া ছাড়া আর কিছু নয়। কংগ্রেস মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা শুক্রবার বলেছেন, ‘এই তিন কোম্পানির গ্রাহক সংখ্যাই ১০৯ কোটি। এর মধ্যে নানা প্ল্যানে জিও খরচ বাড়িয়েছে ১২-২৭ শতাংশ। এয়ারটেল ১১-২১ শতাংশ। আর ভোডাফোন ১০-২৪ শতাংশ। জিও’র সিম ব্যবহারকারীদের মাসে গড়ে খরচ বাড়ছে ৩০ টাকা ৫১ পয়সা। এয়ারটেলের ২২ টাকা ৮৮ পয়সা। ভোডাফোন ২৪ টাকা ৪০ পয়সা। এই বর্ধিত অর্থের থেকে স্বাভাবিকভাবেই রাজস্ব পাবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। সেই জন্যই কি নীরবতা?’ সুরজেওয়ালার প্রশ্ন, ‘বিজেপিই কি তিন কোম্পানিকে বলে দিয়েছিল, ভোটের আগে নয়, নির্বাচন মিটলে যেন বাড়ানো হয় খরচ? না হলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে? ১০৯ কোটি গ্রাহকের পকেট থেকে বছরে অতিরিক্ত ৩৪ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা চলে যাওয়ার জবাব দিতে হবে প্রধানমন্ত্রীকেই।’
এই বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় যোগাযোগমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে ইতিমধ্যেই কড়া চিঠি পাঠিয়েছে সিটু সহ দেশের সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি। অবিলম্বে দাম কমানোর দাবি করেছে তারা। বলা হয়েছে, সরকার যদি ব্যবস্থা না নেয়, বৃহত্তর আন্দোলন হবে। ট্রাইয়ের রিপোর্ট তুলে ধরে মন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, বিএসএনএলের ফোর-জি এবং ফাইভ-জি’তে আপগ্রেডেশনের ব্যাপারে উদ্যোগই নিচ্ছে না কেন্দ্র। সরকারি সংস্থাকে পঙ্গু করে কার স্বার্থে বেসরকারি হাতে কার্যত পরিষেবার ভার তুলে দেওয়া হচ্ছে?