মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য। ... বিশদ
লালবাজার জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ৬ বছর প্রেমের সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন বজবজের রাকেশ শা ও নিক্কু কুমারী দুবে। তবে দু’জনের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ায় জাতপাত। বিভেদের জেরে করোনাকালে ২০২২ সালে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসে নিক্কু। তবে দু’জনের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। মাঝেমধ্যেই লেক গার্ডেন্সের এই গেস্ট হাউসে আসতেন যুগল। ১ জুলাইয়েও সেখানে গিয়েছিলেন তাঁরা। বুধবার ফের যান। নিক্কুর ফোন ঘেঁটে পুলিস জানতে পেরেছে, ওইদিন বিকেল চারটে নাগাদ রাহুল নামে এক যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সে । রাকেশ গুলি করার পরও তাঁকে ফোন করেন যুবতী। তদন্তকারী সূত্রের খবর, রাহুলের ভালো নাম ইনজামুল মোল্লা। বজবজেরই বাসিন্দা সে। গত দু’মাস ধরে তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে লিপ্ত নিক্কু। সে কথা প্রাথমিকভাবে রাকেশের থেকে আড়াল করেছিলেন যুবতী। তবে কোনওভাবে তা পরে জানতে পেরে যান তিনি। পুলিসের ধারণা, প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে রাহুলের বিয়ে হতে পারে, এমনটা সন্দেহ করেই নিক্কুকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন সিভিল ডিফেন্সের ওই কর্মী। নিজেকেও শেষ করে দেওয়ার পণ করেছিলেন তিনি।
মেয়ের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার নার্সিহোমে যান নিক্কুর বাবা উপেন্দ্র দুবে। তিনি জানান, মেয়ের সঙ্গে আগে রাকেশের সম্পর্ক ছিল। রাহুলের সঙ্গে বিয়ের কোনও কথাই চূড়ান্ত হয়নি। তবে রাহুল নামে ওই যুবককে চেনেন জখম যুবতীর পরিবার। এদিন নার্সিংহোমে নিক্কুকে দেখতে যান রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, চিকিৎসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। মেয়েটির অবস্থা সঙ্কটজনক। অপারেশন করার মতো পরিস্থিতি নেই। তাঁর কিডনির কাছে গুলিটি আটকে রয়েছে। এদিন যুবতীর বয়ান রেকর্ড করে পুলিস। তাঁর থেকে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, রাকেশ কয়েক মাস ধরেই ভয় দেখাচ্ছিল। সম্পর্ক চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল সে। গেস্ট হাউসের ঘরে আচমকাই তাঁর দিকে পিস্তল তাক করে যুবক। পালাতে যাওয়ার সময়েই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে প্রাক্তন প্রেমিক। অপরদিকে নিক্কুর বর্তমান প্রেমিক ইনজামুল বলেছেন, ওকে আগে পিস্তল উঁচিয়ে ভয় দেখানো হয়েছে। তখন জানতাম না, রাকেশের কথা। তবে প্রাক্তন প্রেমিক যে ভয় দেখাচ্ছে, সেটা নিক্কু জানিয়েছিল।